Cow Smuggling Case: রকেট গতিতে বেড়েছে সম্পত্তি, অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের ১৮ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নজর সিবিআইয়ের
২০১৫ সালের পর থেকে অনুব্রত মণ্ডল ও তার আত্মীয়-ঘনিষ্ঠদের সম্পত্তির রকেটের গতিতে বেড়েছে। ওইসব সম্পত্তির মধ্য়ে রয়েছে জমি, বাড়ি, রাইস মিল, ক্রাশার-সহ একাধিক সম্পত্তি
![Cow Smuggling Case: রকেট গতিতে বেড়েছে সম্পত্তি, অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের ১৮ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নজর সিবিআইয়ের Cow Smuggling Case: রকেট গতিতে বেড়েছে সম্পত্তি, অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের ১৮ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে নজর সিবিআইয়ের](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/08/22/386497-2.png)
বিক্রম দাস: গোরুপাচার কাণ্ডে গ্রেফতার করা হলেও অনুব্রত মণ্ডলের বিপুল টাকার কোনও সম্পত্তির হদিস প্রাথমিকভাবে পায়নি সিবিআই। কিন্তু তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই একের পর এক রাইস মিলে বেনামে অনুব্রতর অংশীদারি, ঘনিষ্ঠদের কাছে বেনামে টাকা থাকার ব্যপারে সন্দেহ দৃড় হচ্ছে সিবিআইয়ের। এবার সিবিআইয়ের নজরে অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের ১৮টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। এনিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে ৭টি ব্যাঙ্ককে। সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ওইসব ব্যাঙ্ক থেকে ওইসব অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর ২০১৫ সালের পর থেকে লাফিয়ে বেড়েছে অনুব্রতর সম্পত্তি। মনে করা হচ্ছে ওইসব সম্পত্তির একটা বড় অংশ রয়েছে অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের কাছে। ওইসব সম্পত্তির সঙ্গে গোরুপাচারের সম্পর্ক রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-Cow Smuggling: 'অনুব্রতর সাম্রাজ্য' দেখাভাল করতেন এই অপারেটর, সাতসকালেই বিদ্যুতের বাড়িতে সিবিআই
অনুব্রতর মণ্ডলের বাড়ির কাছে রয়েছে একটি সরকারি ব্যাঙ্কের শাখা। সেখানে তার ১৭ কোটি টাকার হদিস পাওয়া যাচ্ছে। সিবিআইয়ের নজরে এসেছে প্রায় রকেটের গ্তিতে বেড়েছে অনুব্রত সম্পত্তি। দ্বিতীয়বার অনুব্রত মণ্ডলকে যখন হেফাজতে চাওয়া হয় তখন সিবিআইয়ের তরফে যে কেস ডাইরি দেওয়া হয় সেখানে বলা হয়েছে ২০১৫ সালের পর থেকে অনুব্রত মণ্ডল ও তার আত্মীয়-ঘনিষ্ঠদের সম্পত্তির রকেটের গতিতে বেড়েছে। ওইসব সম্পত্তির মধ্য়ে রয়েছে জমি, বাড়ি, রাইস মিল, ক্রাশার-সহ একাধিক সম্পত্তি।
উল্লেখ্য, আজ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য অনুব্রত মণ্ডলকে ফের নিজাম প্যালেস থেকে নিয়ে যাওয়া হয় কমান্ড হাসপাতালে। হাসপাতালে নিয়ে যাওযার পথে তাঁকে একাধিক প্রশ্ন ছুড়ে দেন সাংবাদিকরা। প্রশ্ন করা হয় রাইস মিল কার? কিন্তু সেইসব প্রশ্নের কোনও জবাব শুনতে পাওয়া যায়নি। তবে তিনি ঘাড় নাড়েন। তা থেকে কিছু বোঝা যায়নি।
এদিকে, অনুব্রতর সম্পত্তির হদিস পেতে আজ বীরভূমের শিব শম্ভু রাইস মিলে হানা দেয় সিবিআই। শিব শম্ভু রাইস মিলের মালিকানা রয়েছে শিবানী ঘোষের নামে। জানা যাচ্ছে তিনি অনুব্রত মণ্ডলের দিদি। আর রাজা ঘোষ হল তাঁর ভাগ্নে। ২০১০-১২ সাল নাগাদ এই রাইস মিল লিজ নেওয়া হয়। তারপর থেকেই এই রাইস মিল চালু করা হয়। অনুব্রতর দাবি তিনি সিবিআইয়ের সঙ্গে একশো শতাংশ সহযোগিতা করছেন। তাঁর কোনও বেনামি সম্পত্তি নেই। তবে মনে করা হচ্ছে নামে-বেনামে অনুব্রতর ৪৫টি সম্পত্তি রয়েছে। গতকালই অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিদ্যুত্ গায়েনের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। সূত্রের খবর অনুব্রতর সাম্রাজ্যে ৩ তিন জন অপারেটরের বড় ভূমিকা ছিল তার হল আব্দুল লতিফ, রাজীব ভট্টাচার্য ও বিদ্যুৎ গায়েন। কালিকাপুরে ঝাঁ চকচকে বাড়ি বিদ্যুতের। সকালেই সেখানে চলে যান সিবিআই আধিকারিকরা। তদন্তে উঠে আসছে অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের নামে যেসব রাইস মিলের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে সেখানেও বিদ্যুত গায়েনের নাম উঠে আসছে। সুকন্যার যে দুটি কোম্পানির নাম পাওয়া যাচ্ছে সেখানেও বিদ্যুতের নাম। বলা যেতে পারে বিদ্যুত্ গায়েন ছিলেন একপ্রকার অনুব্রত ছায়াসঙ্গী। সূত্রের খবর বিদ্যু্ত গায়েনের যকৃতের চিকিত্সার জন্য ৫৭ লাখ টাকা এসেছে অনুব্রতর তরফ থেকে। সোজাকথায় অনুব্রতর বিভিন্ন কাজকারবার দেখাশোনা করত বিদ্যুত্ গায়েন।