বামেদের উপর গুলি চলল বামনঘাটায়

ফের অগ্নিগর্ভ ভাঙড়। এবার বামনঘাটায়। গুলি, বোমা, বাসে আগুন, ভাঙচুর। সিপিআইএম নেতাদের অভিযোগ, আলিপুরে বিক্ষোভ সভায় আসার পথে তাঁদের সমর্থক বোঝাই বাসগুলির উপর হামলা চালায় আরাবুল ইসলামের নেতৃত্বে তৃণমূল কর্মীরা। হামলায় অন্তত ৬ জন সিপিআইএম সমর্থক গুলিবিদ্ধ। জখম আরও বেশ কয়েকজন। আগুন দেওয়া হয় ১২টি বাসে। ভাঙচুর হয়েছে আরও বেশ কয়েকটি বাস। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, পিছন থেকে সিপিআইএমের মিছিলে ইটবৃষ্টি শুরু হয়। বাঁশ দিয়ে গাড়ি ভাঙচুর চলে। রাস্তায় ফেলে বহু বাম কর্মী সমর্থককে মারধর করা হয়। চালানো হয় গুলি, ব্যাপক বোমাবাজিও হয়েছে। প্রাণভয়ে অনেকে পালিয়ে যান। পরপর দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।

Updated By: Jan 8, 2013, 01:40 PM IST

ফের অগ্নিগর্ভ ভাঙড়। এবার বামনঘাটায়। গুলি, বোমা, বাসে আগুন, ভাঙচুর। সিপিআইএম নেতাদের অভিযোগ, আলিপুরে বিক্ষোভ সভায় আসার পথে তাঁদের সমর্থক বোঝাই বাসগুলির উপর হামলা চালায় আরাবুল ইসলামের নেতৃত্বে তৃণমূল কর্মীরা। হামলায় অন্তত ৬ জন সিপিআইএম সমর্থক গুলিবিদ্ধ। জখম আরও বেশ কয়েকজন। আগুন দেওয়া হয় ১২টি বাসে। ভাঙচুর হয়েছে আরও বেশ কয়েকটি বাস।
ভাঙড়ের কাঁটাতলা। গত শনিবার ওই অঞ্চলেই আক্রান্ত হয়েছিলেন সিপিআইএম বিধায়ক রেজ্জাক মোল্লা। মঙ্গলবার এই কাঁটাতলার সামনে বাম সমর্থকদের মিছিল পৌঁছতেই প্রথম খবর আসে, বামনঘাটায় জমায়েত করেছে তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকরা। আলিপুরে রেজ্জাক মোল্লার ওপর হামলার প্রতিবাদে দলের বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। তৃণমূলের জমায়েত শুনে তাঁরা থমকে যান। কিন্তু পুলিসের আশ্বাস মেলায় ফের এগিয়ে যান তাঁরা। কিন্তু গাড়ির সারি কিছুদুর এগোতে আচমকা খবর আসে মিছিলের পিছন দিকে হামলা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, পিছন থেকে সিপিআইএমের মিছিলে ইটবৃষ্টি শুরু হয়। বাঁশ দিয়ে গাড়ি ভাঙচুর চলে। রাস্তায় ফেলে বহু বাম কর্মী সমর্থককে মারধর করা হয়। চালানো হয় গুলি, ব্যাপক বোমাবাজিও হয়েছে। প্রাণভয়ে অনেকে পালিয়ে যান। পরপর দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
অভিযোগ, রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা তৃণমূল কর্মীরাই হামলা করে। তাঁদের নেতৃত্বে ছিলেন আরাবুল ইসলাম। আরাবুল ও তাঁর সঙ্গী গুলি চালিয়েছে বলেও অভিযোগ প্রত্যক্ষদর্শীদের।
হামলার খবর পেয়ে এলাকায় বাড়তি পুলিস পাঠানো হয়। কিন্তু পরিস্থিতি এতটাই অগ্নিগর্ভ ছিল যে পুলিস এবং দমকল বহুক্ষণ ঢুকতে পারেনি। কিন্তু এলাকায় পুলিস, কমব্যাট ফোর্সের উপস্থিতি সত্ত্বেও আতঙ্ক ছিল।
আহতদের মধ্যে কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। অভিযোগ, পুলিস থাকলেও সাহায্য পাননি মেলেনি। নিজেদের উদ্যোগে সমর্থকদের গাড়িতে আহতদের নিয়ে তাঁরা রওনা দেন কলকাতায়। তাদের নিয়ে আসা হয় ই এম বাইপাস সংলগ্ন বেসরকারি হাসপাতালে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহতরা সেখানে চিকিত্‍সাধীন
তৃণমূল কংগ্রেসের পাল্টা দাবি, হামলায় তাঁদের কয়েকজন সমর্থক আহত হয়েছেন। সিপিআইএমের অভিযোগ, সমর্থকদের বিক্ষোভ সমাবেশে যাওয়া আটকাতেই পরিকল্পনা মাফিক এই হামলা চালানো হয়েছে।

.