তিরস্কৃত তন্ময় ভট্টাচার্য্য, কিন্তু সিপিএমের অন্দরেই উঠছে 'আত্ম বিরোধিতা'র প্রশ্ন
আলিমুদ্দিনের সুরেই তন্ময় ভট্টাচার্যকে সতর্ক করল উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা কমিটি। ভবিষ্যতে কংগ্রেসের কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আগে অনুমতি নিতে হবে। জানিয়ে দেওয়া হল দমদম উত্তরের বিধায়ককে। তন্ময় অবশ্য এখন অনড় তাঁর বিশ্বাসেই। কিছুটা ক্ষুব্ধও।
ওয়েব ডেস্ক: আলিমুদ্দিনের সুরেই তন্ময় ভট্টাচার্যকে সতর্ক করল উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা কমিটি। ভবিষ্যতে কংগ্রেসের কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার আগে অনুমতি নিতে হবে। জানিয়ে দেওয়া হল দমদম উত্তরের বিধায়ককে। তন্ময় অবশ্য এখন অনড় তাঁর বিশ্বাসেই। কিছুটা ক্ষুব্ধও।
একঘণ্টার ইভিনিং ওয়াক। তা নিয়ে তিনদিন ধরে বিতর্ক। কংগ্রেসের মিছিলে হেঁটে দলের তোপে তন্ময়। কংগ্রেসের মিছিলে হাঁটায় তন্ময় ভট্টাচার্যকে ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে নিন্দা করেছে সিপিএম। রাজ্য সম্পাদকের প্রকাশ্য বিবৃতিতে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে দমদম উত্তরের বিধায়ককে।
অনুপম হাজরার পাশে দাঁড়ালেন অনুব্রত মণ্ডল
তন্ময় ভট্টাচার্যের দাবি, ইস্যুর ভিত্তিতে বৃহত্তর জোটবদ্ধ আন্দোলনের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় কমিটি কখনই না বলেনি। মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কংগ্রেসের কর্মসূচি তেমনই এক ইস্যু। সেখানে দলীয় নিশান ছাড়াই তিনি যোগ দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির লাইন অগ্রাহ্য করেননি। তন্ময়ের আচরণের বিরোধী যাঁরা, তাঁরা দিচ্ছেন পাল্টা যুক্তি।
শরিকি আপত্তিতে শনিবার সকালেই কংগ্রেসের মিছিলে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাম পরিষদীয় দল। সিপিএম মনে করে পরিষদীয় দলের সিদ্ধান্ত না মেনে তন্ময় অন্যায় করেছেন। আলিমুদ্দিনের সুরেই উত্তর চব্বিশ পরগনার জেলা কমিটির বৈঠকেও সোমবার তাঁকে সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু, জেলার সিংহভাগ নেতাই ব্যক্তিগতভাবে তন্ময়ের পক্ষে।
কংগ্রেসের সঙ্গে জোট চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা নেতৃত্বের একাংশ। উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গৌতম দেব নিজেই ভীষণভাবে জোটপন্থী। জেলা নেতাদের যুক্তি, কেন্দ্রীয় কমিটিতে দলের বাংলা ব্রিগেডও তো জোটবদ্ধভাবে জোটের পক্ষে সওয়াল করেছেন। প্রশ্ন উঠছে, শরিকি আপত্তিতে কংগ্রেস থেকে দূরে থাকা কি আত্ম বিরোধিতা নয়? তন্ময়কে শৃঙ্খলা পাঠ পড়াতে গিয়ে কি বৃহত্তর বিতর্কের জন্ম দিল সিপিএম রাজ্য নেতৃত্ব? উঠছে প্রশ্ন।