দুমাস ধরে চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতালে বিকল সিটি স্ক্যান মেশিন, দুর্ভোগে রোগীরা
দুমাসেরও বেশি সময় ধরে বিকল হাজরার চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতালের সিটি স্ক্যান মেশিন। রোগীদের রেফার করা হচ্ছে অন্য হাসপাতালে। কিন্তু সেখানেও লম্বা লাইন। এক সপ্তাহের আগে, সিটি স্ক্যানের ডেট পাওয়া কার্যত অসম্ভব। বাধ্য হয়ে নিরুপায় রোগীদের ছুটতে হচ্ছে হাসপাতাল লাগোয়া বিভিন্ন বেসরকারি ডায়াগনেস্টিক সেন্টারে। বাড়তি টাকা দিয়ে বাইরে থেকে করাতে হচ্ছে সিটি স্ক্যান।
দুমাসেরও বেশি সময় ধরে বিকল হাজরার চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতালের সিটি স্ক্যান মেশিন। রোগীদের রেফার করা হচ্ছে অন্য হাসপাতালে। কিন্তু সেখানেও লম্বা লাইন। এক সপ্তাহের আগে, সিটি স্ক্যানের ডেট পাওয়া কার্যত অসম্ভব। বাধ্য হয়ে নিরুপায় রোগীদের ছুটতে হচ্ছে হাসপাতাল লাগোয়া বিভিন্ন বেসরকারি ডায়াগনেস্টিক সেন্টারে। বাড়তি টাকা দিয়ে বাইরে থেকে করাতে হচ্ছে সিটি স্ক্যান।
হাজরার চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার হাসপাতাল। রাজ্যের ক্যান্সার চিকিতসার এই অগ্রণী হাসপাতালে দুমাসেরও বেশি সময় ধরে বিকল সিটি স্ক্যান। হাসপাতালে সিটি স্ক্যান করাতে আসা রোগীদের রেফার করা হচ্ছে এসএসকেএম এবং কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেও সিটি স্ক্যানের ডেট পেতে নাকাল হচ্ছেন রোগীরা। বাধ্য হয়ে বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে বেশি টাকা দিয়ে করাতে হচ্ছে সিটি স্ক্যান। দুমাস ধরে সমস্যা চললেও কার্যত কোন হেলদোল নেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। খারাপ হওয়া পুরনো সিটি স্ক্যান মেশিনটিকে সারানো সম্ভব নয়। বসাতে হবে নতুন যন্ত্র। এমনটাই বলছেন চিকিতসকেরা। কিন্তু দুমাস পেরিয়ে গেলেও কেন বসল না নতুন সিটি স্ক্যান যন্ত্র? হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা। লোকসভা নির্বাচনের কারণে থমকে গোটা প্রক্রিয়া।
সিটি স্ক্যান বসাতে বছর গড়িয়ে যাবে। এমনটাই ইঙ্গিত হাসপাতাল অধিকর্তার।
ফ্রি বেডের রোগীরা নিখরচায় সিটি স্ক্যান করাতে পারেন হাসপাতাল থেকে। পেয়িং বেডের রোগীদের ক্ষেত্রে চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার হাসপাতালে সিটি স্ক্যানের খরচ সাতশো থেকে তিন হাজার টাকা। একই পরীক্ষা বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে করাতে প্রায় দ্বিগুন টাকা গুনতে হচ্ছে রোগীদের। কবে সমস্যার সমাধান হবে তা জানেন না খোদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও।