আইনশৃঙ্খলা ও বাহিনী নিয়ে আলোচনা, শনিবার রাজ্যে উপ নির্বাচন কমিশনার
জেলাশাসক ও পুলিস সুপারদের সঙ্গে যে বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন উপ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার...
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিরোধীদের তোলা অভিযোগ ও বাংলার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে শনিবারই বাংলায় আসছেন উপ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। রাজ্যের সব জেলাশাসক ও ডিসিপি-দের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে তাঁর।
লোকসভা নির্বাচনের সময়ে গোটা রাজ্যকে 'অতি সংবেদনশীল' ঘোষণা করা হোক- নির্বাচন কমিশনের কাছে এই দাবি জানিয়েছে বিজেপি। তাদের যুক্তি, রাজ্যের সব ক'টি বুথই স্পর্শকাতর। এক্ষেত্রে পঞ্চায়েত নির্বাচনের 'সন্ত্রাস'এর নজির তুলে ধরেছে বিজেপি। তাই নির্বাচনের আগে বাংলার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আসছেন উপ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। শনিবার রাজ্যে আসছেন উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। জেলাশাসক ও পুলিস সুপারদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। নির্বাচন সংক্রান্ত গাইড লাইন বেঁধে দিতে বৃহস্পতিবারই দিল্লিতে জরুরি বৈঠক হয়েছে।
জেলাশাসক ও পুলিস সুপারদের সঙ্গে যে বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন উপ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার...
রাজ্যে কোন কোন বুথ স্পর্শকাতর?
স্পর্শকাতর বুথগুলির ক্ষেত্রে কী কী সতর্কতা নেওয়া হয়েছে?
রাজ্যের কোন কোন জেলা সংবেদনশীল?
রাজ্য তার নিজস্ব বাহিনী কীভাবে ব্যবহার করবে?
আইনশৃঙ্খলা ও বাহিনী সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা
আরও পড়ুন: অবাধ ভোটে তত্পর কমিশন, লালবাজারে ডিসিদের সঙ্গে ভিডিও-বৈঠকে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক
প্রসঙ্গত, পশ্চায়েত নির্বাচনে অশান্তির নজির তুলে বৃহস্পতিবারই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ, নির্মলা সীতারামন, জে পি নড্ডারা। তাঁদের দাবি, পশ্চিমবঙ্গের সব ক’টি বুথই স্পর্শকাতর। এই যুক্তি দেখিয়ে লোকসভা নির্বাচনের সময়ে গোটা রাজ্যকে ‘অতি সংবেদনশীল’ ঘোষণা করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে দাবি জানায় বিজেপি। একই দাবিতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হন প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বও।
এই অভিযোগের পরই উপ মুখ্য নির্বাচন কমিশনের রাজ্যে আসা বিশেষ তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। প্রসঙ্গত, শুক্রবারই লালবাজারে কলকাতা পুলিসের ডিএসপিদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক।