অফিসে বসিয়ে ম্যারাথন জেরা পুলিসের, কসবায় দেবাঞ্জনকে দেখে বিক্ষোভ স্থানীয়দের
অফিসে তল্লাশি চালিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হল বিপুল সামগ্রী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: শহরে ভুয়ো ভ্য়াকসিনকাণ্ডের পর্দাফাঁস। তদন্তে উঠে আসছে একের এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। কসবার অফিসে নিয়ে গিয়ে অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবকে ম্যারাথন জেরা করল পুলিস। বাজেয়াপ্ত করা হল ভুয়ো ভ্যাকসিন, মাস্ক, স্যানিটাইজার-সহ বিভিন্ন সামগ্রী। অফিস থেকে অভিযুক্তকে বের করার সময়ে বিক্ষোভে ফেটে পড়লেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
কসবা, সোনারপুর, এমনকি বাদ যায়নি উত্তর কলকাতা সিটি কলেজও। নিজেকে আইপিএস অফিসার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প করেছিল দেবাঞ্জন। কিন্তু কোভিশিল্ড নয়, যাঁরা টিকা নিয়েছিলেন, তাঁদের দেওয়া হয়েছিল অ্যামিকাসিন (Amikasin) নামে এক ধরনের অ্য়ান্টিবায়োটিক। যা মূলত পেটের রোগ নিরাময়ে ব্যবহার হয়। এই অ্য়ান্টিবায়োটিক অতিরিক্ত ব্যবহার করলে কান ও কিডনির ক্ষতি হতে পারে।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবের বাড়ি থেকে প্রচুর ভায়েল উদ্ধার করেছেন তদন্তকারী অফিসাররা। সাধারণত কোভিশইল্ডের ভায়েল ৫ মিলিগ্রামের হয়, তবে ওই ভায়েলগুলি ছিল দুই মিলিগ্রাম। সন্দেহ হওয়া তদন্তকারী যখন ভায়েলের উপর লাগানো কোভিশিল্ডের লেবেলটি তুলে ফেলেন, তখন আসল ঘটনাটি প্রকাশ্যে চলে আসে।
আরও পড়ুন: মোবাইল ছিল নিষিদ্ধ, কর্মীর উপর চলত নজরদারি, দেবাঞ্জনের অফিস ঘিরে ‘সুপার সিক্রেসি’
অভিযুক্ত দেবাঞ্জন নন্দী এখন পুলিসে হেফাজতে। এদিন দুপুর তিনটে নাগাদ তাকে কসবা থেকে রাজডাঙা মেন রোডের অফিসে নিয়ে যায় পুলিস। সঙ্গে ছিলেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরাও। অফিসে প্রায় ৫ ঘণ্টা ধরে জেরা পর্ব। সেখানে যা ছিল, সবই বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এদিকে অফিস থেকে বের করার সময়ে দেবাঞ্জনকে দেখে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজও করা হয় তাকে। এরপর তড়িঘড়ি অভিযুক্ত নিয়ে কসবা থানার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তদন্তকারীরা