কর্মী সঙ্কটের মধ্যেই আজ উদ্বোধন হচ্ছে প্রগতি ময়দান দমকল কেন্দ্রের

ব্যাপক কর্মী সঙ্কটের মধ্যেই আজ উদ্বোধন হচ্ছে প্রগতি ময়দান দমকল কেন্দ্রের। প্রশ্ন উঠছে, কর্মী কই? কারণ, ২০১১ সালের পর থেকে নিয়োগ হয়নি দমকলে। কর্মী নেই। এই কথাটা এখন দমকল বিভাগের সব মহলে। শেষ নিয়োগ হয় সেই ২০১১ সালে। এরপর থেকে আর নিয়োগ হয়নি। অথচ এই ৫ বছরে বেড়েছে দমকলকর্মীদের কাজের পরিধি। ঢেলে সাজানো হয়েছে দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। এরই মধ্যে দু দুটি নতুন দমকল কেন্দ্রের উদ্বোধন। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন দমকলকর্মীরা।    

Updated By: Jan 27, 2016, 10:43 AM IST
কর্মী সঙ্কটের মধ্যেই আজ উদ্বোধন হচ্ছে প্রগতি ময়দান দমকল কেন্দ্রের
প্রতীকি ছবি

ওয়েব ডেস্ক: ব্যাপক কর্মী সঙ্কটের মধ্যেই আজ উদ্বোধন হচ্ছে প্রগতি ময়দান দমকল কেন্দ্রের। প্রশ্ন উঠছে, কর্মী কই? কারণ, ২০১১ সালের পর থেকে নিয়োগ হয়নি দমকলে। কর্মী নেই। এই কথাটা এখন দমকল বিভাগের সব মহলে। শেষ নিয়োগ হয় সেই ২০১১ সালে। এরপর থেকে আর নিয়োগ হয়নি। অথচ এই ৫ বছরে বেড়েছে দমকলকর্মীদের কাজের পরিধি। ঢেলে সাজানো হয়েছে দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর। এরই মধ্যে দু দুটি নতুন দমকল কেন্দ্রের উদ্বোধন। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন দমকলকর্মীরা।    

পদ                                    থাকার কথা                  রয়েছেন        
ডেপুটি ডিরেক্টর                        ৫জন                          ০                    
ডিভিশনাল ফায়ার অফিসার       ২৩জন                      ১৮জন
স্টেশন অফিসার                      ২১৭জন                   ২১২জন
--------------------------------------
পদ                               থাকার কথা           রয়েছেন       শূন্যপদ
সাব অফিসার                    ৪০২জন            ১৪০জন        ২৬২

ফায়ার ইঞ্জিন অপারেটর
কাম ড্রাইভার                   ১১১২জন            ৬১২জন        ৫০০

লিডার                           ১০৮৯জন            ৬০৭জন        ৪৮২

ফায়ার অপারেটর              ৪৯৬০ জন           ২৪৩০জন      ২৫৩০

স্টাফ কাম ড্রাইভার            ৪০জন                ৫জন             ৩৫

এএসও                          ৬০জন                 ৫জন              ৫৫

তাহলে দমকলের কাজ চলছে কীভাবে? দফতরের কর্মীদের দাবি, নতুন নিয়োগ না হলেও বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবক বা AFS নিয়োগ হয়েছে। তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তা দমকলের রুটিন প্রশিক্ষণ নয়। তাই স্বেচ্ছাসেবক থাকলেও  অধিকাংশ কাজ সামলাতে হচ্ছে তাঁদেরই।  কর্মীর অভাব থাকায় এক ডিভিশন থেকে অন্য ডিভিশনে কাজ করতে যেতে হচ্ছে দমকলকর্মীদের। তাঁদের অভিযোগ, জরুরির পরিষেবার দোহাই দিয়ে কখনও দু শিফট বা কখনও তিন শিফটেও কাজ করানো হচ্ছে। যখন এতটাই কর্মী সঙ্কট, তখন আবার নতুন দু দুটি কেন্দ্র? দমকলকর্মীরা বলছেন, এসবই ভোটের চমক। নতুন করে কর্মী নিয়োগ না হলে এরপর ভেঙে পড়বে গোটা দমকল পরিষেবা।

.