মোবাইলের সূত্রেই সুবিচার পেলেন সেক্টর ফাইভ গণধর্ষণকাণ্ডের নির্যাতিতা, দোষী সাব্যস্ত ৪
চার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করল বারাসত আদালত।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভয় পেয়ে দেশ ছেড়ে নেপালে চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু হাল ছাড়েননি। প্রায় তিন বছর পর ধর্ষকদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জিতলেন নির্যাতিতা। সেক্টর ফাইভে গণধর্ষণকাণ্ডে সুবিচার পেলেন বিদেশি তরুণী। সোমবার চার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করল বারাসত আদালত। মামলায় মোবাইলের সূত্র ধরেই রায় দিলেন বিচারক।
২০১৬ সালের মে মাসে সেক্টর ফাইভে বিদেশি তরুণীকে জোর করে গাড়িতে তোলে দুষ্কৃতীরা। এরপর চলন্ত গাড়িতে চলে নির্যাতন। রাতভর নির্যাতন সহ্য করার পর ভোরের দিকে গাড়ি থেকে ঝাঁপ দেন তরুণী। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে বিধাননগর থানার পুলিস। মহিলা থানায় ধর্ষণের ধারায় দায়ের করা হয় মামলা। অভিযুক্ত অর্ণব বেরা, শুভেন্দু নাগ সৌরভ দে ও সুব্রত দত্তদের এদিন দোষী সাব্যাস্ত করে বারাসাত আদালত। মঙ্গলবার সাজা ঘোষণা।
কীভাবে অভিযুক্তদের ধরল পুলিস? তরুণী ঝাঁপ দেওয়ার সঙ্গে রাস্তায় পড়ে যায় এক অভিযুক্তের মোবাইলও। তরুণীর মোবাইলটি পড়েছিল গাড়িতেই। দুটি মোবাইলের নেটওয়ার্ক দেখেই স্পষ্ট হয়, ওইদিন একটা নির্দিষ্ট সময়ে দুটি মোবাইল একটি জায়গার মধ্যেই ঘোরাফেরা করেছে।
বিশেষ সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালকে ফোনে জানিয়েছেন, ''তরুণী বুঝতে পারেন, তাঁকে হত্যা করা হতে পারে। এরপরই গাড়ি থেকে ঝাঁপ দেন। গাড়িটি দ্রুতগতিতে বেরিয়ে যায়। মেয়েটির মোবাইল গাড়িতেই ছিল। অভিযুক্তের মোবাইল বাইরে পড়ে যায়। দুটি মোবাইল দেখেই স্পষ্ট হয়, অভিযুক্ত ও নির্যাতিতার টাওয়ার লোকেশন একই ছিল। নির্যাতিতাকে বারবার ভয় দেখানো হত। নানাভাবে উত্যক্ত করার চেষ্টা হয়েছে। মেয়েটি ভয়ে নেপালে পালিয়ে যান। এসব সত্ত্বেও লড়াই করেছেন। ২০ বছর কারাদণ্ড বা যাবজ্জীবনের সাজা হতে পারে অভিযুক্তদের''।
আরও পড়ুন- বিধায়ক খুনের পর দলীয় অফিসেই এবার গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কাউন্সিলর