মন্ত্রী, আমলাদের রাজভবনে জরুরি তলব উদ্বিগ্ন রাজ্যপালের
এর আগেও ভাঙড়কাণ্ডের সময় রাজ্যের অবস্থার সঙ্গে গুন্ডারাজের তুলনা করে একইভাবে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেবার শিল্পমন্ত্রীকে ছুটে যেতে হয়েছিল রাজভবনে বিরোধ মেটাতে। আর শুক্রবারও সেই একই ছবির পুনরাবৃত্তি হল। পুলিস কমিশনারের বদলিতে তাঁর অসন্তোষ বৃহস্পতিবারই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। আর শুক্রবার রাজ্য পুলিসের ডিজি এবং রাজ্যের মুখ্যসচিবকে তলব করে সেই বিষয়ে প্রায় একঘণ্টা বৈঠক করেন রাজ্যপাল। রাজ্যের শিল্পমন্ত্রীও এদিন সকালে যান রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে। যদিও সকলের ব্যাখা শুনে রাজ্যপাল কতটা সন্তুষ্ট তা পরিস্কার নয়।
এর আগেও ভাঙড়কাণ্ডের সময় রাজ্যের অবস্থার সঙ্গে গুন্ডারাজের তুলনা করে একইভাবে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেবার শিল্পমন্ত্রীকে ছুটে যেতে হয়েছিল রাজভবনে বিরোধ মেটাতে। আর শুক্রবারও সেই একই ছবির পুনরাবৃত্তি হল। পুলিস কমিশনারের বদলিতে তাঁর অসন্তোষ বৃহস্পতিবারই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। আর শুক্রবার রাজ্য পুলিসের ডিজি এবং রাজ্যের মুখ্যসচিবকে তলব করে সেই বিষয়ে প্রায় একঘণ্টা বৈঠক করেন রাজ্যপাল। রাজ্যের শিল্পমন্ত্রীও এদিন সকালে যান রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে। যদিও সকলের ব্যাখা শুনে রাজ্যপাল কতটা সন্তুষ্ট তা পরিস্কার নয়।
পুলিস কমিশনারকে সরানোর সিদ্ধান্তে তিনি যে মোটেই খুশি নন, বৃহস্পতিবার রাজ্যপালের মন্তব্যেই তা স্পষ্ট হয়ে যায়। শুক্রবার দুপুরেই তাই ফের একবার আসরে নামলেন শিল্পমন্ত্রী। বেলা বারোটা নাগাদ রাজভবনে যান তিনি। মনে করা হচ্ছে, কমিশনারকে সরানোর পিছনে সরকারের যুক্তি রাজ্যপালকে বোঝাতে গিয়েছিলেন তিনি। রাজ্যপালের কাছে যাওয়ার কথা প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে শিল্পমন্ত্রীর দাবি, বিধানসভার অধিবেশন নিয়ে কথা বলতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিষয়টি যদি এতটাই সহজ হয় তাহলে প্রথমে তা আড়াল করার চেষ্টা কেন?
শুক্রবারই বিকেল চারটে নাগাদ রাজ্যপালের তলবে রাজভবনে হাজির হন রাজ্য পুলিসের ডিজি নপরাজিত মুখোপাধ্যায় এবং মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র। প্রায় এক ঘণ্টা দুজনের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যপাল। জানা যাচ্ছে, গার্ডেনরিচের ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে চান এম কে নারায়নণ। শুধু তাই নয়, পুলিস কমিশনারের বদলি প্রসঙ্গ নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে অনুমান। যদিও প্রশাসনিক স্তরে দাবি, এই বৈঠক পূর্বনির্ধারিতই ছিল। প্রথমে সরকারের মন্ত্রী। তারপর সরকারি আমলা। দফায় দফায় সব পক্ষের ব্যাখায় রাজ্যপাল মত কি বদলালো? নাকি আরও বড় বিরোধের পরিবেশ তৈরি হল?