রাজ্যে স্নাতক স্তরে সিলেবাস থেকে পরীক্ষা সিস্টেমে ব্যাপক রদবদল
রাজ্যের সবকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরে এবার একই সিলেবাস তৈরির উদ্যোগ নিল শিক্ষা দফতর। স্নাতকোত্তরে যাতে অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষার ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা না হয়, মূলত সেজন্যই এই নয়া উদ্যোগ। উচ্চশিক্ষা সংসদের সুপারিশ অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত বলে দাবি শিক্ষা দফতরের।
ওয়েব ডেস্ক : রাজ্যের সবকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরে এবার একই সিলেবাস তৈরির উদ্যোগ নিল শিক্ষা দফতর। স্নাতকোত্তরে যাতে অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষার ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা না হয়, মূলত সেজন্যই এই নয়া উদ্যোগ। উচ্চশিক্ষা সংসদের সুপারিশ অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত বলে দাবি শিক্ষা দফতরের।
স্নাতক স্তরে কী পড়ানো হবে, তার একটি নির্দিষ্ট গাইডলাইন থাকলেও, রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সিলেবাস কিন্তু এক নয়।ফলে স্নাতকোত্তরে ভর্তির জন্য যে অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষার কথা শিক্ষা দফতর ভাবছে, তাতে সমস্যা হবে। সেই কারণেই এবার সিলেবাস রিফর্ম করার উদ্যোগ নিল শিক্ষা দফতর। এর পিছনে অবশ্য শুধু কমন এন্ট্রান্স টেস্টই ফ্যাক্টর নয়, রয়েছে আরও বেশ কিছু কারণ। যেমন,
১)স্নাতক স্তরে চয়েস বেসড ক্রেডিট স্টিস্টেম চালু করা।
২) সেমিস্টার পদ্ধতি চালু করা।
৩) প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা সমমানের করা।
৪) নেট পরীক্ষায় রাজ্যের পড়ুয়াদের পাশের হার বাড়ানো। কারণ এরাজ্যের পরীক্ষার্থীদের পাশের হার খুবই কম।
৫) ছাত্রছাত্রীদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা।
উচ্চশিক্ষা সংসদ জানিয়েছে, ধাপে ধাপে এই সিলেবাস পরিবর্তন করা হবে। কীরকম?
প্রথমে বিজ্ঞান বিষয় এবং পরে বাকি বিষয়েও সিলেবাস পরিবর্তন হবে।
শীঘ্রই শিক্ষাবিদদের নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি তৈরি করবে উচ্চশিক্ষা সংসদ।
৩ মাসের মধ্যে কমিটি প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেবে।
এবছর নভেম্বর মাসের মধ্যে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিতে হবে কমিটিকে।
সবশেষে সেই রিপোর্ট বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে পাঠিয়ে দেবে উচ্চশিক্ষা সংসদ। নিজেদের নিয়ম-নীতি অনুযায়ী তা কার্যকর করবে সবকটি বিশ্ববিদ্যালয়।