Bow Bazar, East West Metro: ভুক্তভোগীরা কবে স্থায়ী ঠিকানা পাবেন? শ্বেতপত্র প্রকাশের নির্দেশ মেট্রো কর্তৃপক্ষকে
মেট্রো কাজে ফের বিপত্তি! বউবাজারে দুর্গাপিতুরি লেনের পর মদন দত্ত লেনের একাধিক বাড়িতে। আতঙ্কে রাস্তায় স্থানীয় বাসিন্দারা। মেট্রো কর্তৃপক্ষের ভূমিকায় ক্ষোভ।
অয়ন ঘোষাল: বউবাজারে ফের ফাটল আতঙ্ক। মেট্রোর কাজের জন্য রাতারাতি ঘরছাড়া হতে হল স্থানীয় বাসিন্দাদের। ভুক্তভোগীরা কবে স্থায়ী ঠিকানা পাবেন? কাদের জন্যইবা বিকল্প বাসস্থানে ব্যবস্থা করা হবে? মৌখিক নয়, KMRCL-কে এবার শ্বেতপত্র প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হল। কবে? বুধবারের মধ্যে। তার আগে অবশ্য মেট্রো কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট দেবেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা।
ব্যবধান মাত্র পাঁচ মাসের। বউবাজারে মেট্রোর কাজে জন্য ফের রাতের ঘুম উড়ল স্থানীয় বাসিন্দাদের। সাতসকালে জিনিসপত্র নিয়ে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হল রাস্তায়! প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, এদিন ভোরের দিকে ফাটল দেখা যায় বউবাজারের মদন দত্ত লেনের একাধিক বাড়িতে। শুধু তাই নয়, বেলা গড়াতে নতুন করে ফাটল ধরে ১৮৫ এবং ১৮৫/১ বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের দুটি বাড়িতেও।
এর আগে, মেট্রো কাজ চলাকালীন ২০১৯ সালে বউবাজারে দুর্গাপিতুরি লেন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল কমপক্ষে ৪০ বাড়ি। পরিস্থিতি এতটাই বিপজ্জনক ছিল যে, বেশ কয়েকটি বাড়ি ভেঙে ফেলতে হয়। ঘরবাড়ি ছেড়ে অস্থায়ী ঠিকানায় চলে যেতে হয়েছিল বাসিন্দাদের। ফের একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে চলতি বছরের মে মাসে। স্রেফ মেট্রো প্রকল্পের পাশে একাধিক বাড়ি নয়, সেবার দুর্গাপিতুরি লেনে রাস্তায়ও ফাটল ধরেছিল।
আরও পড়ুন: Bow Bazar, East West Metro: জোড়াতাপ্পি দিয়ে কাজ মেট্রোর! বউবাজারে ফের ফাটলে ক্ষোভ মেয়র ফিরহাদের
কেন বারবার এমন বিপত্তি? মেট্রো রেলের ভূমিকায় রীতিমতো ক্ষুদ্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। বস্তুত, খবর পেয়ে যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছন, মেট্রো কর্তাদের সামনে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় কাউন্সিলর। অভিযোগ, বউবাজার মেট্রোর নির্মাণকারী সংস্থা KMRCL তরফে এর আগে মৌখিকভাবে যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, তা পূরণ করা হয়নি। এদিন কাউন্সিলরের দফতরে মেট্রো কর্তা ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকেই KMRCL-কে বুধবার মধ্যে শ্বেতপত্র প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়।
কী থাকছে শ্বেতপত্রে?
------------------
মেট্রোর কাজ কতটা এগিয়েছে? এরপর কোথায় কাজ হবে?
কতজনকে কতটাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে?
ভুক্তভোগীরা কবে স্থায়ী ঠিকানা পাবেন?
কাদের বিকল্প বাসস্থান ব্যবস্থা করা হবে?
কতদিনে পরিকল্পনার বাস্তবায়ণ?
সোমবার নিজের লেটার হেডে মেট্রো কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেবেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোাধ্যায়।সেই চিঠি প্রেক্ষিতেই বুধবারের মধ্য়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে KMRCL। এদিন উত্তর কলকাতার তৃণমূল সাংসদ বলেন, 'কেন মাঝে এটা হচ্ছে? যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের মত, মাটির নিচে আগে টানেল তৈরির কাজ আগে শেষ করতে হবে। এরপর মাটিক পরীক্ষা বিষয়টি আসবে। এখন কী করা উচিত, পুরসভাকে রিপোর্ট দেবে যাদবপুরের বিশেষজ্ঞরা। সেটা মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ওরা শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে'। তাঁর প্রশ্ন, 'ওরা বলছেন, তহবিলের সমস্যা নেই। তহবিল আছে, ই়ঞ্জিনিয়ার আছে, রেলের মতো দফতর আছে, যাদবপুরের মতো বিশেষজ্ঞরা আছে, তাহলে কেন বারবার এটা হবে'?