কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক খুনকাণ্ডে, বিজেপি সাংসদকে ফের ম্যারাথন জেরা সিআইডির
গত বছর ৯ ফেব্রুয়ারি ভরাসভায় গুলিতে খুন হন কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিত্ বিশ্বাস
নিজস্ব প্রতিবেদন: নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিত্ বিশ্বাসের খুনের ঘটনায় ফের জেরার মুখে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। বুধবার তাঁকে ভবাণীভবনে টানা ৪ ঘণ্টা জেরা করে সিআইডি। এনিয়ে তাঁকে তিনবার জেরা করা হল তাঁকে।
আরও পড়ুন-জুলাইতেও বন্ধ থাকবে স্কুল-কলেজ! ইঙ্গিত মুখ্যমন্ত্রীর কথায়
এবছর ফেব্রুয়ারি মাসের ৮ ও ৯ তারিখে ম্যারাথন জেরা করে সিআইডি। তবে ওই খুনের কিনারা এখনও হয়নি। সত্যজিত্ বিশ্বাস খুনের ঘটনায় তৃণমূল রাজনৈতিক অভিসন্ধি নিয়ে বিজেপির লোকজনকে ফাঁসাচ্ছে, এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। কলকাতা হাইকোর্ট জগন্নাথ সরকারকে তদন্তে সহযোগিতার নির্দেশ দেয়। সত্যজিত্ খুনের তদন্তে সব রকম সহযোগিতা করবেন জানিয়েও বিজেপি সাংসদ অভিযোগ করেছিলেন, পুরভোটের দিকে তাকিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তৃণমূল।
উল্লেখ্য, গত বছর ৯ ফেব্রুয়ারি ভরাসভায় গুলিতে খুন হন কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিত্ বিশ্বাস। বাড়ি থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে নিজেরই ক্লাবের সরস্বতী পুজোর উদ্বোধনে গিয়ে খুন হন সত্যজিত। পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে সত্যজিতের মাথায় গুলি করে আততায়ীরা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ সেসময় দাবি করেন, রীতিমতো ছক কষেই খুন করা হয়েছে তাঁকে। ঘটনার পরই অভিজিত্ পুন্ডারি নামের একজনকে আটক করে পুলিস। সত্যজিত বিশ্বাস খুনের পর শনিবার রাতেই অভিজিত্ নামে এক যুবকের বাড়ি ভাঙচুর করে এলাকার মানুষজন।
আরও পড়ুন-ভিড় এড়াতে সরকারি অফিসে কাজ হবে ২ শিফটে, বেসরকারিতে ওয়ার্ক ফ্রম হোমে জোর
ঘটনার রাতেই ঘটনাস্থল থেকে তথ্য সংগ্রহের কাজে নেমে পড়ে পুলিস। বিধায়ক খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় আরও দুজনকে। কার্তিক মণ্ডল ও সুজিত মণ্ডল নামের এই দুজনকে ম্যারাথন জেরা করে পুলিস। ঘটনাস্থলের প্রায় একশো মিটার দূর থেকে উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। আততায়ীর খোঁজে স্থানীয় বাসিন্দাদের মোবাইল ফুটেজও ভরসা করে পুলিস।
পাড়ার সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠান বলে এদিন স্থানীয় বহু মানুষ মোবাইলে ছবি তুলছিলেন। কেউ কেউ আবার অনুষ্ঠানের মুহূর্ত ভিডিও করে রেখেছেন। সেইসব ছবি বা ভিডিও থেকেও তদন্তে সহায়তা করার মতো কোনও ফুটেজ পাওয়া যায় কি না তাও দেখে পুলিস। খুনের ধরন ও পারিপার্শ্বিক ঘটনা দেখে পরিকল্পনা মাফিক খুন বলেই মনে হয়, এমনটাই বক্তব্য স্থানীয়দের। এদিন পুজোর অনুষ্ঠানের মাঝে বারবার লোডশেডিং হচ্ছিল। স্থানীয় মানুষের একাংশের দাবি, ষড়যন্ত্র করেই এমনটা করা হচ্ছিল। যাতে অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে অনায়াসে অপারেশন চালানো যায়!