রবীন্দ্র সরোবরে উদ্ধার লা মার্টস-এর ছাত্রের দেহ
রবীন্দ্র সরোবর থেকে উদ্ধার হল লা মার্টস-এর একাদশ শ্রেণির ছাত্র ঋজু বসাকের দেহ। পুলিস সূত্রে খবর, দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। কোনও সুইসাইড নোটও পাওয়া যায়নি।
রবীন্দ্র সরোবর থেকে উদ্ধার হল লা মার্টস-এর একাদশ শ্রেণির ছাত্র ঋজু বসাকের দেহ। পুলিস সূত্রে খবর, দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। কোনও সুইসাইড নোটও পাওয়া যায়নি।
মৃত ছাত্রের পরিবার জানিয়েছে, শরীর খারাপ থাকায় গত সোমবার ও মঙ্গলবার স্কুলে যায়নি ঋজু। তবে বুধবার ম্যাক্সমুলার ভবনে একটি সেমিনারে যোগ দেয়। ওই দিন দুপুরে শেষবার কথা হয়েছিল মায়ের সঙ্গে। এর পর সন্ধ্যায় ঋজুর ফোন থেকে তার মায়ের কাছে ফোন এলেও কোনও কথা বলেনি সে। এবং পরে ফোনটি নট রিচেবল হয়ে যায়।
তারপর রাতে বাড়িতে একটি ফোন আসে। নিজের পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি জানান, চারু মার্কেট থানা এলাকায় ভবানী সিনেমার সামনে স্কুল ব্যাগ ও জুতো পাওয়া গিয়েছে। ব্যাগের মধ্যে থেকে পাওয়া আই কার্ডের নম্বর থেকেই ফোন নম্বর পেয়েছেন বলে জানান ওই ব্যক্তি। ফোন পেয়েই ওই এলাকায় যান ঋজুর বাড়ির লোকজন। চারু মার্কেট থানায় মিসিং ডায়েরি করেন তাঁরা।
এরপর শুক্রবার সকালে ঋজুর ফোনে ফোন করা হয়। কল রিসিভ করা হয়। কিন্তু ঋজু কোথায় রয়েছে বা ফোনটি কার কাছে রয়েছে, সে বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি। চারু মার্কেট থানা এলাকায় খোঁজ করতে শুরু করেন পরিবারের লোকজন। রবীন্দ্র সরোবরের নিরাপত্তা কর্মী তাঁদের জানান একটি ছেলের দেহ পাওয়া গিয়েছে। দেহটি দেখেই তাঁদের ছেলে বলে চিহ্নিত করেন ঋজুর পরিবারের লোকেরা। ঘটনার খবর পেয়েই লা মার্টস-এর প্রিন্সিপাল ও কয়েকজন শিক্ষক যান ঋজুর বাড়িতে। তাঁরা জানান, স্কুলের মেধাবী ছাত্র ছিল ঋজু বসাক। স্কুলের বিরুদ্ধে তাঁদের কোনও অভিযোগ নেই বলেই জানান মৃত ছাত্রের বাবা-মা। তবে ঠিক কী কারণে ঋজুর মৃত্যু, তা এখনও স্পষ্ট জানা যায়নি। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিস।