কৃষক জাঠার পর শক্তি যাচাইয়ে কেষ্টর গড়ে নামছেন উজ্জীবিত বাম নেতারা
আগামী ১০ ডিসেম্বর সকাল দশটায় তারাপীঠ থেকে রামপুরহাট পর্যন্ত হাঁটবেন বাম নেতারা।
মৌমিতা চক্রবর্তী
হাইকোর্টে ঝুলে রয়েছে বিজেপির রথযাত্রার ভবিষ্যত্। সিঙ্গল বেঞ্চের রায় চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের শরণাপন্ন হয়েছেন বিজেপি নেতারা। তবে বিজেপির রথযাত্রার পাল্টা রামপুর হাতে সম্প্রীতি মহামিছিলের ডাক দিয়েছে বামেরায মিছিলে হাঁটবেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সুজন চক্রবর্তী. নরেন চট্টোপাধ্যায়-সহ জেলা ও রাজ্য নেতৃত্ব।
আগামী ১০ ডিসেম্বর সকাল দশটায় তারাপীঠ থেকে রামপুরহাট পর্যন্ত হাঁটবেন বাম নেতারা। সিপিএমের নেতা সুজন চক্রবর্তীর কথায়, ''বিজেপি রথযাত্রা করছে না, ওটা ভোটযাত্রা। বিজেপির কর্মসূচি প্রচার করে দিচ্ছে তৃণমূলই। এসব ভনিতার জবাব দিতে বীরভূমে সাধারণ মানুষকে নিয়ে মিছিল করব। আসল সত্যিটা মানুষকে জানাব''। ঘটনা হল, দিন কয়েক আগে সিঙ্গুর থেকে বামেদের কৃষক জাঠার ভিড় থেকে অক্সিজেন পেয়েছেন বাম নেতারা। কৃষক জাঠার সভামঞ্চ থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছেন সূর্যকান্ত মিশ্র। এমনকি সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক বলে দিয়েছেন, বিজেপি-তৃণমূলের ব্রিগেডে যত লোক আসবে, সেই ভিড় বামেদের ব্রিগেডে আনতে হবে। প্রসঙ্গত, এদিন সংহতি যাত্রা বের হয় মহাজাতি সদন থেকে। যাত্রা শেষ হয় পার্কসার্কাসে।
বলে রাখি, সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই-ও রথযাত্রার পাল্টা সভা, মিছিলের কর্মসূচির দিয়েছে। পিছিয়ে নেই তৃণমূলও। ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করে দিয়েছেন, রথ যে পথ দিয়ে সেই পথেই পরের দিন হবে পবিত্রযাত্রা। দলনেত্রীর চেয়েও এক ধাপ এগিয়ে বীরভূমের অনুব্রত মণ্ডল। বুধবার বোলপুরের ডাকবাংলোর মাঠে খোল-করতাল বিলি করেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি। বিজেপির রথযাত্রার দিন রাস্তায় সেগুলি নিয়ে বেরোবেন তাঁরা। সবমিলিয়ে রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে রাজ্যে এমন এক প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে, যা বিজেপির কর্মসূচি ঘিরে আগে কখনও দেখা যায়নি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ মুচকি হেসে দাবি করেছেন, বিরোধীরাই রথযাত্রার প্রচার করে দিচ্ছেন।