Garfa Murder: ১০ বছরের সম্পর্কে বিয়েতে 'জটিলতা', রেজিস্ট্রির ৭ দিন আগেই একসাথে লাঞ্চের পর প্রেমিকাকে খুন!
১৫ ডিসেম্বর যুগলের বিয়েও ঠিক হয়েছিল। পঙ্কজের সন্দেহ হয় যে, কোনও 'তৃতীয়পক্ষের' আগমন হয়েছে। সুস্মিতা 'অন্য' কোনও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন : গড়ফায় যুবতী খুনের (Garfa Murder) ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত প্রেমিক (Lover Arrested)। ১০ বছরের সম্পর্কে তিক্ততা ও বিয়ে নিয়ে বিবাদ-জটিলতা থেকেই খুন। ধৃত প্রেমিক পঙ্কজ দাসকে জেরায় এমনটাই জানা গিয়েছে। ৭ দিন বাদেই ছিল রেজিস্ট্রি। কিন্তু তার আগেই রবিবার গড়ফার বিবেকনগরে নিজের বাড়িতে প্রেমিকের হাতে খুন হয়ে যান সুস্মিতা দাস।
তদন্তে জানা গিয়েছে, সম্পর্কের টানাপোড়েন থেকে ঝগড়া হয় দুজনের মধ্যে। বচসা চলাকালীনই বালিস চাপা দিয়ে সুস্মিতাকে খুন করে পঙ্কজ। দীর্ঘ ১০ বছরেরও বেশি সময় সম্পর্ক ছিল দুজনের। ১৫ ডিসেম্বর যুগলের বিয়েও ঠিক হয়েছিল। ৭ দিন বাদেই ঠিল রেজিস্ট্রি। কিন্তু তার আগেই সম্প্রতি দুজনের মধ্যে বেশকিছু বিষয়ে মনোমালিন্য দেখা দেয়। শুরু হয় সম্পর্কে টানাপোড়েন। বিয়ে করতে অস্বীকার করছিলেন সুস্মিতা। যা থেকে পঙ্কজের সন্দেহ হয় যে, কোনও 'তৃতীয়পক্ষের' আগমন হয়েছে। সুস্মিতা 'অন্য' কোনও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন। সেই 'দ্বিতীয় পুরুষে'র জন্যই তাকে বিয়ে করতে পিছপা হচ্ছেন সুস্মিতা। সেই সন্দেহ থেকেই রবিবার ফের দুজনের মধ্যে বচসা বাধে। আর তখনই বালিস চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে সুস্মিতাকে খুন করে পঙ্কজ (Garfa Murder)।
রবিবার ১২টা নাগাদ তরুণীর বাড়িতে আসে হাবড়ার বাসিন্দা প্রেমিক পঙ্কজ। তারপর সারাদিন সুস্মিতার বাড়িতে তার সঙ্গেই ছিল প্রেমিক। দুপুরে একসাথে খাওয়া-দাওয়াও করে। একই ঘরের মধ্যে ছিল দুজনে। এরপর বিকেল ৪টে নাগাদ পঙ্কজ বেরিয়ে যাওয়ার পর, ঘর থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই যুবতীকে। মুখ থেকে লালা বেরচ্ছিল। ঠোঁটের ওপর কালশিটে দাগও ছিল। পরিবারের লোকেরা এরপর তড়িঘড়ি সুস্মিতা দাসকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এই ঘটনায় প্রেমিক পঙ্কজ দাসের বিরুদ্ধে গড়ফা থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করে মৃতার বাড়ির লোক। অভিযোগের ভিত্তিতে গোটা ঘটনার তদন্তে নামে গড়ফা থানার পুলিস। তারপরই হাওড়া থেকে অভিযুক্ত প্রেমিক পঙ্কজ দাসকে গ্রেফতার করে পুলিস।