'আমি বাঁচতে চাই!' সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্ফোরক আর্তি মদন মিত্রের বৌমার
অভিযোগ শুনে কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?
নিজস্ব প্রতিবেদন: এবার মদন মিত্রর (Madan Mitra) বড় ছেলের বিরুদ্ধে মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ। অভিযোগকারী তৃণমূল বিধায়কের পুত্রবধূ স্বাতী রায়। ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে মিত্র পরিবারের বিরুদ্ধে একাধিক বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তিনি। যদিও, গোটা বিষয়টিকে 'অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক' বলে দাবি করেছেন মদন মিত্র নিজে।
শনিবার ফেসবুকে ভিডিওটি আপলোড করেন মদন মিত্রর (Madan Mitra) বড় ছেলের বউ স্বাতী রায়। তিনি জানান, ২০১৪-তে তৃণমূল বিধায়কের বড় ছেলের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের পরেই চেনা মানুষটা বদলে যায়। তাঁর অভিযোগ, "বিয়ের পর জানতে পারি যাঁর সঙ্গে বিয়ে হয়েছে সে একটি সাইকোপ্যাথ। ঘুমের ওষুধ খেতো। মুঠো মুঠো ঘুমের ওষুধ খেতো। সঙ্গে মদ্যপান করত। আমার গায়ে হাত তুলতে শুরু করল। অকথ্য ভাষায় গালাগালাজ করত। আমার শ্বশুর-শ্বাশুড়ি প্রচণ্ড চেষ্টা করেছে মারের হাত থেকে বাঁচানোর। কিন্তু, আমি বিচার চেয়েছিলাম। প্রতিবার মার খেতাম, যন্ত্রণা হত। সেই যন্ত্রণা ভোলার আগেই আবার মার খেতাম। সেটার কোনও বিচার আমি পাইনি।" তাঁর আরও অভিযোগ, ২০১৯-এ কোনও মতে এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। নিজের মায়ের কাছে থাকতে শুরু করেন। এরপরও মদন মিত্রর বড় ছেলের তরফে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়। ভয়ে দিদির বাড়িতে তিনমাস কাটান তিনি। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন।
এখানেই শেষ নয়, স্বাতী রায়ের দাবী, আড়াই বছর আলাদা থাকাকালীনও তৃণমূল বিধায়কের বড় ছেলের দ্বারা বারবার নির্যাতিত হয়েছেন। হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, "এদের চাপে আমি আত্মহত্য়ার চেষ্টা করি। কিন্তু ফিরে আসি। কারণ আমার একটা ছোট বাচ্চা আছে। ওর আমাকে দরকার। আমি বাঁচতে চাই। আমি মরতে চাই না। আমার পরিবারের লোকদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমি ওদের কোনও জিনিস নিইনি। আমার সব জিনিস ওদের কাছে। আর্থিক ভাবে এবং মানসিক ভাবে আমাকে মেরে ফেলতে চাইছে।" তাঁর দাবী, সমস্ত অভিযোগ সত্যি। কেউ প্রমাণ চাইলে ছবি এবং নথিও দেখাতে পারবেন।
এই বিষয়ে জানার জন্য কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রর (Madan Mitra) সঙ্গে যোগাযোগ করে Zee ২৪ ঘণ্টা। তিনি বলেন, "এটা সম্পূর্ণ ভাবে আমার ছেলের ব্যাপার। আমি এই ধরনের কোনও খবর রাখি না। আমি রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত থাকি। পড়শু দিনও স্বাতী আমার দক্ষিণেশ্বরের ফ্ল্যাটে ছিল। ছেলেকে নিয়ে খেলাধুলো করেছেন। তবে ভারতবর্ষে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আইনে যা আছে তাই হবে। খুব দুর্ভাগ্যজনক।"
আরও পড়ুন: Municipal Election 2022: ৪ পুরসভার নির্বাচন পিছল কমিশন, ১২ ফেব্রুয়ারি পুরভোট
আরও পড়ুন: Jangalmahal Mela কি বন্ধ থাকবে? ঝাড়গ্রামের জেলাশাসককে ২৪ ঘণ্টা সময় দিল হাইকোর্ট