রেলের ছাড়পত্রের অপেক্ষা না করেই মাঝেরহাট সেতু ভাঙার কাজ শুরু করল পূর্ত দফতর

এর মধ্যেই বুধবার ব্রিজ ভাঙার তোড়জোড় শুরু করে দিল পূর্ত দফতর। জানা গিয়েছে, রেলের তরফে এখনো অনুমতি না মেলায় রেল লাইনের ওপরের অংশে এখন হাত দেবে না রেল। বাকি অংশ ভেঙে ফেলা হবে জ' ক্রাসার মেশিন দিয়ে। সেজন্য মুম্বই থেকে আনা হচ্ছে যন্ত্রটি। এই পদ্ধতিতে দূষণ কম হবে বলে দাবি পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের। 

Updated By: Sep 19, 2018, 02:52 PM IST
রেলের ছাড়পত্রের অপেক্ষা না করেই মাঝেরহাট সেতু ভাঙার কাজ শুরু করল পূর্ত দফতর

নিজস্ব প্রতিবেদন: শুরু হল মাঝেরহাট ব্রিজ ভাঙার কাজ। বুধবার ব্রিজটিকে বেড়া দিয়ে ঘেরার কাজ শুরু হয়েছে। পূর্ত দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, ব্রিজ ভাঙতে মুম্বই থেকে আনা হবে বিশেষ যন্ত্র। দূষণ রুখতে আধুনিক পদ্ধতিতে ভাঙা হবে এই ব্রিজ। 

গত ৪ সেপ্টেম্বর ভেঙে পড়ে মাঝেরহাট ব্রিজের একাংশ। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ৩ জনের। এর পরই ব্রিজের ভবিষ্যত্ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। যদিও পরীক্ষার পর ফরেন্সিক দল জানায়, সেতুর বাকি অংশ এখনো ৫০ বছর হেসে খেলে টিকে থাকবে। এমনকী রক্ষণাবেক্ষণের চূড়ান্ত গাফিলতিতেই ব্রিজের একটি অংশ ভেঙে পড়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা। 

ওদিকে সেতু ভেঙে পড়ায় পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হয় যায় বেহালা-সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা। বিকল্প হিসাবে সেতুর দুপাশ দিয়ে রেলকে লেভেল ক্রসিং তৈরির প্রস্তাব দেয় রেল। মঙ্গলবারই তার জবাব দিয়েছে রেল। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ২টি লেভেল ক্রসিং সম্ভব নয়, বানানো যেতে পারে একটি মাত্র লেভেল ক্রসিং। একই সঙ্গে নিউ আলিপুর লেভেল ক্রসিং চওড়া করার প্রস্তাব দেয় রেল। 

এর মধ্যেই বুধবার ব্রিজ ভাঙার তোড়জোড় শুরু করে দিল পূর্ত দফতর। জানা গিয়েছে, রেলের তরফে এখনো অনুমতি না মেলায় রেল লাইনের ওপরের অংশে এখন হাত দেবে না রেল। বাকি অংশ ভেঙে ফেলা হবে জ' ক্রাসার মেশিন দিয়ে। সেজন্য মুম্বই থেকে আনা হচ্ছে যন্ত্রটি। এই পদ্ধতিতে দূষণ কম হবে বলে দাবি পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের। 

জলের অভাবে জতুগৃহ বাগরি! এদিকে ছাদেই ছিল ৫০০০ লিটারের ২৪টি ট্যাঙ্ক

মাঝেরহাট সেতু দুর্ঘটনার পর নবান্নে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে পূর্ত দফতরের কর্তাদের ১ বছরের মধ্যে ফের ব্রিজ তৈরি করে দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতো জোর কদমে ময়দানে নেমেছেন দফতরের ইঞ্জিনিয়াররা। জোর কদমে চলছে নতুন সেতুর নকসা তৈরির কাজ। জানা গিয়েছে, সেতুর নকসা একবার তৈরি হয়ে গেলে তা পাঠানো হবে রেলের কাছে। রেল নকসায় অনুমোদন দিলে তৈরি হবে সেতু তৈরির কাজ।  

.