'রাজ্যে আক্রান্তের রেট বাড়লেও ডিসচার্জ রেট খুব ভালো', করোনা চিকিৎসায় একগুচ্ছ ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
করোনা চিকিৎসায় জুনিয়র ডাক্তারদের নিয়োগ সহ আরও বেশকিছু সিদ্ধান্তও ঘোষণা করেছেন এদিন মুখ্যমন্ত্রী।
নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যে করোনা আক্রান্তের হার যেমন বেড়েছে, তেমন ডিসচার্জ রেটও খুব ভালো। এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, রাজ্যে করোনার চিকিৎসায় জুনিয়র ডাক্তারদের কীভাবে নিয়োগ করা হবে, সেই বিষয়েও এদিন একগুচ্ছ সিদ্ধান্তের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। করোনা চিকিৎসায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বেসরকারি হাসপাতাগুলিকে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "পজেটিভ রেট ২.৭ শতাংশ ছিল ৩০মে পর্যন্ত। আজ পর্যন্ত এটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩.৪০ শতাংশ। যাঁরা বাইরে থেকে এসেছেন, তাঁদের মাধ্যমেই ১০ শতাংশের বেশি বেড়েছে।" আরও বলেন, "টেস্ট করার ল্যাব বাড়ার ফলে আমরা প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৯ হাজার টেস্ট করতে পারছি। ১৬ কোটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে হাউস ভিজিট করেছেন স্বাস্থ্য কর্মীরা। প্রায় ৮ হাজার ডাক্তার, ৯ হাজার নার্স কাজ করছেন।" আক্রান্তের হার যেমন বেড়েছে, তেমনই মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, "আমাদের ডিসচার্জ রেটও খুব ভালো। ১৬ জুন পর্যন্ত অ্যাক্টিভ কেস ৫,৩৮৬ জন, ডিসচার্জ হয়েছে ৬,০২৮ জন।"
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী করোনা চিকিৎসায় বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে এগিয়ে আসার জন্য এদিন ফের আহ্বান জানান। বলেন, "বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে বলছি প্লিজ কোনও রোগী আসলে তাঁকে পরিষেবা দিন। তাঁর চিকিৎসা করুন। সে কোভিড হোক বা অন্য কোনও রোগে আক্রান্ত হোক, তাঁর চিকিৎসা তো শুরু করতে হবে। তাঁকে তো স্টেবল করুন প্রথমে। তারপর টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ আসলে তখন না হয় কোভিড চিকিৎসা শুরু করবেন।" মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বেসরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যসচিব। এবার থেকে সব কোভিড হাসপাতালগুলো প্রতিদিন ঘণ্টায় ঘণ্টায় বেড সংক্রান্ত তথ্য আপডেট করবে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী করোনা চিকিৎসায় জুনিয়র ডাক্তারদের নিয়োগ সহ আরও বেশকিছু সিদ্ধান্তও ঘোষণা করেছেন। যেমন-
১) যাঁরা প্রথম সারিতে কাজ করছেন, তাঁদের ডিফিকাল্ট এরিয়া হিসাবে কনসিডার করা হবে।
২) যারা পোস্ট গ্র্যাজুয়েট করছেন, তাঁরা যদি ডিফিকাল্ট এরিয়াতে কাজ করতে চান, তাহলে তাঁদের নম্বরে ১০ শতাংশ নম্বর অতিরিক্ত দেওয়া হবে।
৩) যাঁরা ইন্টার্ন আছেন ও পড়াশোনা করছেন, তাঁদের অ্যাকাডেমিক কেরিয়ার যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তাই তাঁরা ডিফিকাল্ট এরিয়াতে কাজ করতে এলে তাঁদের "কোভিড ওয়ারিয়র" সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।
৪) টিচিং ও ট্রেনিংয়ে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য রোটেশনের বিষয়টা দেখে নেওয়া হবে।
৫) ৩০ জুন পর্যন্ত যাঁদের ফাইনাল পরীক্ষা রয়েছে, তাঁদের তার পরের দিন থেকেই কাজে নিয়োগ করা হবে।
আরও পড়ুন, 'প্রমাণ নেই, তাই আর জেরা নয়,' হাইকোর্টের রায়ে অভিযোগ থেকে রেহাই অভিষেক পত্নীর