Mamata on Manipur Violence: এটা কোন দেশ! দেশের কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রী-সহ মণিপুর যাচ্ছেন মমতা?
Mamata on Manipur Violence: বৃহস্পতিবার সকালেই কলকাতায় ফিরে এসেছে তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দলের অন্যতম সদস্য সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, মণিপুরের বর্তমান অবস্থা ভয়াবহ। ওখানে যে অত্যাচার হয়েছে, যে নৃশংসতা, যে ভয়াবহতা ,এটা ভাবা যায় না যে কোন সভ্য সমাজে হতে পারে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ধর্মতলায় একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে এসে মণিপুরের দুই মহিলার উপরে নক্কারজনক অত্যাচার নিয়ে সরব হলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজই তিনি ট্যুইট করে এনিয়ে সরব হন। তিনি লেখেন, ‘দুর্বৃত্তদের এই ধরনের অমানবিক কর্মকাণ্ডের নিন্দা ও অপরাধীদের বিচারের জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে লড়তে হবে’। এবার ধর্মতলায় সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি এনিয়ে সরব হলেন।
আরও পড়ুন-একুশে জুলাইয়ের আগে আপাত স্বস্তি, রক্ষাকবচ পেলেন অভিষেক!
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, দলের জন্য যারা শহিদ হয়েছেন তাদের আমরা এদিন স্মরণ করি। দেশের জন্যও যারা শহিদ হয়েছেন তাদেরও আমরা এদিন মনে করি। আজ আমাদের একটা লজ্জার দিন। মণিপুরের যে ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সেটি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নামিয়ে দেওয়া হলে তো ঠিকই আছে। কিন্তু যারা দেখার তারা তো দেখে ফেলেছেন। ওই ভিডিয়ো দেখে মনে হয়েছে, এটা কোন দেশ! এদেশে মা-বোনদের ইজ্জত নিয়ে খেলা হচ্ছে। আমার বুক ভেঙে যাচ্ছে। আর বিজেপি নেতারা আমাদের গালি দেয়। মহিলাদের যারা সম্ভ্রমহানি করল তাদের জন্য দেশের বিজেপি নেতারা কী বলবেন? অত্যন্ত নক্কাজনক ঘটনা, লজ্জা। দেশের মহিলা, সংখ্যালঘু,দলিতদের উপরে যে অত্যাচার হচ্ছে তার বিরুদ্ধে লড়াই করছে দেশ। গোটা দেশ মণিপুরের পাশে রয়েছে। অনেকের সঙ্গে আমার কথা হচ্ছে। যদি সুয়োগ হয় তাহলে আমরা কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রী মণিপুরে যাব।
Heartbroken and outraged to witness the horrific video from Manipur showing the brutal treatment of two women by a frenzied mob.
No words can express the pain and anguish of witnessing the violence inflicted on marginalized women. This act of barbarism is beyond comprehension…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) July 20, 2023
তৃণণূল নেত্রী আরও বলেন, মণিপুর আমাদের প্রতিবেশী রাজ্যে। তৃণমূল কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দলকে ওখানে পাঠিয়েছিলাম। তাঁরা বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে গিয়েছেন। ওখানে যাবার জন্য আমিও আবেদন জানিয়েছিলাম। আমারা চাইছি দেশের কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রী সেখানে য়াব। কেন্দ্রকে নিশানা করে মমতা বলেন, খারাপ জিনিস খারাপই। একটা জিনিসকে কাউন্টার করতে গিয়ে অন্য কিছুকে চেপে দিলে তা দেখে চুপ করে থাকা যায় না। এই সরকার ফেডারেল স্ট্রাকচার বুলডোজ করে দিয়েছে। ওরা বারবার বলেন আমরা সবচেয়ে বড় লোকতন্ত্র। আমরা সবার জন্য। কিন্তু না। আপনারা শুধু একটা দলের জন্য। আজ এরা সন্ত্রাসের সৌদাগর। আমরা সবাই মণিপুরের পাশে রয়েছি।
দেশজুড়ে তোলপাড়ের মধ্য়েই বৃহস্পতিবার ট্যুইট করে মমতা লিখেছেন, ‘মণিপুরের ভয়ঙ্কর ভিডিয়োটি যেখানে একটি উন্মত্ত জনতার দল দুই মহিলার সঙ্গে নির্মম আচরণ করেছে তা দেখে হৃদয় ভেঙে যায়। প্রান্তিক নারীদের উপর যে হিংসা চালানো হয়েছে তা প্রত্যক্ষ করার বেদনা ও যন্ত্রণা কোনও শব্দে প্রকাশ করা যায় না। এই বর্বর কাজ মানবতার লজ্জা। দুর্বৃত্তদের এই ধরনের অমানবিক কর্মকাণ্ডের নিন্দা ও অপরাধীদের বিচারের জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে লড়তে হবে’।
বৃহস্পতিবার সকালেই কলকাতায় ফিরে এসেছে তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দলের অন্যতম সদস্য সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, মণিপুরের বর্তমান অবস্থা ভয়াবহ। ওখানে যে অত্যাচার হয়েছে, যে নৃশংসতা, যে ভয়াবহতা ,এটা ভাবা যায় না যে কোন সভ্য সমাজে হতে পারে। এটা হতে দিয়েছে, ওখানকার শুধু রাজ্য সরকার নয় কেন্দ্রের সরকার সমানভাবে দায়ী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কয়েকজন সাংসদকে পাঠিয়েছিলেন বলে আমরা দেখতে পেলাম কী ঘটনা সেখানে ঘটেছে। নেত্রী যেতে চেয়েছিলেন। তাকে অনুমতি দেওয়া হয়নি।