সিঙ্গাপুরে মমতা নিয়ে যাচ্ছেন তিন ধরনের চাল
দেরাদুন রাইসের সুগন্ধে বহুদিন ধরেই মুগ্ধ গোটা বিশ্ব। এবার সেই বাজারই দখল করতে তৈরি প্রায় হারিয়ে যাওয়া বাংলার নানা সুগন্ধী চাল। বিদেশের বাজারে নজর কাড়তে তুলাইপাঞ্জি, রাধাতিলক, কালো নুনিয়ার মতো সুগন্ধী চাল -- নিয়ে সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।
![সিঙ্গাপুরে মমতা নিয়ে যাচ্ছেন তিন ধরনের চাল সিঙ্গাপুরে মমতা নিয়ে যাচ্ছেন তিন ধরনের চাল](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2014/08/14/28039-mamataiko.jpg)
কলকাতা: দেরাদুন রাইসের সুগন্ধে বহুদিন ধরেই মুগ্ধ গোটা বিশ্ব। এবার সেই বাজারই দখল করতে তৈরি প্রায় হারিয়ে যাওয়া বাংলার নানা সুগন্ধী চাল। বিদেশের বাজারে নজর কাড়তে তুলাইপাঞ্জি, রাধাতিলক, কালো নুনিয়ার মতো সুগন্ধী চাল -- নিয়ে সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এক সময় বাংলায় তিন-চার হাজার রকমের ধান হোত। তারই কয়েকটি থেকে মিলত সুগন্ধী চাল। কিন্তু এখন সেসব অতীত। কারণ, সুগন্ধী এমন সব ধানের চাষ সময়সাপেক্ষ। তার ওপর লাগে জৈব সার। ঢেঁকিছাঁটা সেই সুগন্ধী চালের দামও বেশি। ফলে ষোলোআনা দেশি সেইসব সুগন্ধী চাল এই বাংলাতেই কদর পায় না। কিন্তু বিদেশে সুগন্ধী চালের একটা বড় বাজার আছে।
সে কথা মাথায় রেখেই নদিয়ার ফুলিয়ায় প্রায় হারিয়ে যাওয়া ওই সব প্রজাতির ধান চাষ শুরু করেন ব্যবসায়ী সহদেব বসাক। কলকাতার নানা মেলায় রমরমিয়ে বিক্রিও হয়তাঁর আনা নানা সুগন্ধী চাল। সরকারের নজরে পড়ে যায় সহদেব বসাকের অভিনব উদ্যোগ। আর তারপরই বাংলার হারিয়ে যাওয়া সেইসব সুগন্ধী চাল বিদেশের বাজারে পৌছে দিতে উদ্যোগী রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেড়শ কেজি চাল যাচ্ছে সিঙ্গাপুর।
দেরাদুন রাইসের রমরমা গোটা বিশ্বজুড়ে। সেই বিশ্ববাজারকে এবার কি মাত করতে পারবে রাধাতিলক, তুলাইপাঞ্জি বা কালো নুনিয়া? দেশীয় এই তিন সুগন্ধী চাল সিঙ্গাপুরের মানুষকে কতটা খুশি করতে পারে, তার ওপরই নির্ভর করছে এই প্রশ্নের উত্তর। 3