নজিরবিহীন! বন্ধ এনআরএসের পরিষেবা, অথৈ জলে রোগী এবং তাঁদের পরিবার
ভাই বছর ১০-এর সাগর মন্ডল মারা গিয়েছে গতকাল রাতেই। এখনও মৃতদেহ আটকে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত ৪ বছরের দিসা সাউকে কোলে নিয়ে গেটের সামনে অসহায় হয়ে ঘুরছেন একরত্তির বাবা।
![নজিরবিহীন! বন্ধ এনআরএসের পরিষেবা, অথৈ জলে রোগী এবং তাঁদের পরিবার নজিরবিহীন! বন্ধ এনআরএসের পরিষেবা, অথৈ জলে রোগী এবং তাঁদের পরিবার](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2019/06/11/196589-untitled-1.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদন: হাসপাতাল চত্বরের একধারে দাঁড়িয়ে হাউ হাউ করে কাঁদছে টুসকি মণ্ডল। তাঁর ভাই বছর ১০-এর সাগর মন্ডল মারা গিয়েছে গতকাল রাতেই। এখনও মৃতদেহ আটকে রাখা হয়েছে। অন্যদিকে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত ৪ বছরের দিসা সাউকে কোলে নিয়ে গেটের সামনে অসহায় হয়ে ঘুরছেন তার বাবা। চিন্তার ভাঁজ বনগার বাসিন্দা সুপ্রিয়া বোসের কপালেও। গলায় চিকিৎসা চলছে তাঁর। চিকিৎসার বিলম্বে মৃত্যু জেনেও আজকের পরিস্থিতির চাপে অসহায় সেও। সার দিয়ে দাঁড়িয়ে হাজারও রোগী আর তাঁদের পরিবার। মঙ্গলবার সকালে এমনই ছবি চোখে পড়ছে NRS চত্বরে।
আরও পড়ুন: অগ্নিগর্ভ এনআরএস, মধ্যরাতে মূল ফটক আটকে খণ্ডযুদ্ধ হাসপাতালে
সোমবার মধ্যরাতে রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার বাঁধে NRS হাসপাতালে। চিকিৎসার গা ফিলতির অভিযোগ ওঠে চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে। দু-পক্ষের হাতাহাতিতে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন এক জুনিয়র চিকিৎসক। ঘটনার প্রতিবাদে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে হাসপাতালের মূল ফটক বন্ধ করে ধর্নায় বসেছেন সমস্ত বিভাগের জুনিয়র ডাক্তাররা। স্তব্ধ জরুরী বিভাগ। চিকিৎসার ইতিহাসে যা কার্যত নজিরবিহীন। তুলকালাম ক্যাম্পাসে শিকেয় চিকিৎসা পরিষেবা। ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না অ্যাম্বুলেন্সও। এদিকে অথৈ জলে পড়েছেন রোগীদের পরিবার। হাসপাতালে ঢুকতে পারছেন না দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা, ফিরে যাচ্ছেন বিনাচিকিৎসায়। রোগীদের বিপাকে ফেলে আন্দোলন কতটা যুক্তি যুক্তি তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
অন্যদিকে কার্যত অসহায় ওপর মহলও। তাঁরা জানাচ্ছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার প্রাণপণ চেষ্ঠা চালাচ্ছেন তাঁরা। যদিও কোনও কথাই শুনতে নারাজ হবু ডাক্তাররা। তাহলে এখন উপায়? উত্তর নেই কারও। একাধিক জীবন সংশয়ের মুখে। মূল ফটকে ঝুলছে বোর্ড, জারি আন্দোলন।