বিরোধীহীন বিধানসভায় পাস পরিষদীয় সচিব বিল
বিধানসভায় পরিষদীয় সচিব বিল এনে কী দলীয় বিধায়কদের ক্ষোভ প্রশমিত করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী? শুধু বিরোধী দলই নয়, বিভিন্ন মহলে এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার বিরোধীহীন বিধানসভায় পরিষদীয় সচিব বিল পাস করাল সরকার। এই বিলের মাধ্যমে একধাক্কায় আরও ৪৪ জন বিধায়ককে রাষ্ট্রমন্ত্রীর সমমর্যাদার পদে নিয়ে আসবে সরকার।
বিধানসভায় পরিষদীয় সচিব বিল এনে কী দলীয় বিধায়কদের ক্ষোভ প্রশমিত করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী? শুধু বিরোধী দলই নয়, বিভিন্ন মহলে এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার বিরোধীহীন বিধানসভায় পরিষদীয় সচিব বিল পাস করাল সরকার। এই বিলের মাধ্যমে একধাক্কায় আরও ৪৪ জন বিধায়ককে রাষ্ট্রমন্ত্রীর সমমর্যাদার পদে নিয়ে আসবে সরকার।
সরকারি কোষাগারের যখন বেহাল দশা তখন কেন রাষ্ট্রমন্ত্রী স্থানীয় পদ সৃষ্টি করে আর্থিক বোঝা বাড়ানো হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। প্রতিদিনই দীর্ঘ হচ্ছে মন্ত্রিসভা। এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করেছে বিরোধী বাম এবং কংগ্রেস দুপক্ষই। বিরোধীদের বক্তব্য দলীয় বিধায়কদের ক্ষোভ প্রশমিত করতেই তাদের জন্য সরকারি পদ তৈরি করা হচ্ছে। নিজেদের যুক্তির পক্ষে তারা বলছেন এই মুহুর্তে রাজ্যে মন্ত্রী এবং রাষ্ট্রমন্ত্রী মিলিয়ে মোট সংখ্যা ৪৪। ইউপিএ থেকে সমর্থন তোলার পর তৃণমূলের সাত সাংসদকে বিভিন্ন দফতরের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন স্বশাসিত সংস্থার চেয়ারম্যান। এই বিলের পাসের ফলে পরিষদীয় সচিব হবেন ৪৪ জন। ফলে তৃণমূলের বিধায়ক এবং সাংসদ মিলিয়ে মোট ১৪৫ বেশি সরকারি পদে আসীন হলেন। এই তথ্যের ভিত্তিতে বিরোধীদের অভিযোগ দলীয় বিধায়কদের ক্ষোভ প্রশমিত করতেই আইন আনা হচ্ছে।
পরিষদীয় সচিব বিল নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে নাস্তানাবুদ হতে হয় পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। পরিষদীয় মন্ত্রী বলেন বাম আমলেও পরিষদীয় সচিব আইন ছিল। নতুন সরকার কিছু পরিবর্তন করেছে মাত্র।
সাংবাদিকদের প্রশ্ন ছিল তাহলে বাম আমলের আইনটি সংশোধন না করে কেন নতুন আইন আনছে সরকার। এই প্রশ্নে দৃশ্যতই বিব্রত পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান।
বিলটি নিয়ে অভিযোগ জানাতে রাজ্যপালকে চিঠি পাঠিয়েছেন বামেরা।
গোয়া, হিমাচলপ্রদেশ, সরকার বিধানসভায় একই বিল এনেছিল, যা খারিজ হয়ে যায় হাইকোর্টে। এর আগে নাগাল্যান্ডের ক্ষেত্রে মামলা দেশের শীর্ষ আদালত রায় দেয় পরিষদীয় সচিব নিয়োগ অযৌক্তিক ও অবমাননাকর।