`আদালতে যাবেন না`, শিল্পপতিদের অনুরোধ শিল্পমন্ত্রীর
বণিকসভাগুলির কাছে অভিনব প্রস্তাব রাখলেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ফেলে রাখা জমি সরকার ফিরিয়ে নিলেও, শিল্পপতিরা যাতে আদালতে না যান, তার জন্য বণিকসভাগুলিকে উদ্যোগী হতে বললেন তিনি। কোনও শিল্পপতি শিল্পের জন্য জমি নিয়েও, যদি তা দীর্ঘদিন ফেলে রাখেন, তাহলে ওই জমি ফিরিয়ে নেওয়া হবে। একথা আগেই ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। সোমবার শিল্পমন্ত্রী বলেন, রাজ্য ফেলে রাখা জমি ফিরিয়ে নিলেও শিল্পপতিরা যেন আদালতে না যান। তা নিশ্চিত করতে, বণিকসভাগুলিকে মঞ্চ গড়ে উদ্যোগী হতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বণিকসভাগুলির কাছে অভিনব প্রস্তাব রাখলেন রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ফেলে রাখা জমি সরকার ফিরিয়ে নিলেও, শিল্পপতিরা যাতে আদালতে না যান, তার জন্য বণিকসভাগুলিকে উদ্যোগী হতে বললেন তিনি।
কোনও শিল্পপতি শিল্পের জন্য জমি নিয়েও, যদি তা দীর্ঘদিন ফেলে রাখেন, তাহলে ওই জমি ফিরিয়ে নেওয়া হবে। একথা আগেই ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। সোমবার শিল্পমন্ত্রী বলেন, রাজ্য ফেলে রাখা জমি ফিরিয়ে নিলেও শিল্পপতিরা যেন আদালতে না যান। তা নিশ্চিত করতে, বণিকসভাগুলিকে মঞ্চ গড়ে উদ্যোগী হতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
ঘটনাচক্রে শিল্পমন্ত্রী যখন একথা বলেছেন, তার কয়েকঘণ্টা পরেই শিল্পমহলের সঙ্গে রাজ্য সরকারের বিজয়া সম্মিলনী। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, তার আগে হঠাত কেন এমন আর্জি শিল্পমন্ত্রীর? উঠে এসেছে একাধিক জল্পনা।
প্রথমত, তৃণমূল সরকারের নতুন শিল্পনীতি ঘোষণার পরেও রাজ্যে শিল্পায়ন প্রক্রিয়ায় এখনও সেভাবে গতি আসেনি। বরং এখনও তা কার্যত থমকেই রয়েছে।
দ্বিতীয়ত, যে সব শিল্পপতি রাজ্যে বেশি বিনিয়োগ করবেন, তাঁদের নানা রকম সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। তারপরেও বিনিয়োগে খরার ছবিটা বদলায়নি। সরকারের কাছে সেটা বড় মাথা ব্যথা।
তৃতীয়ত, আদালতে দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা সিঙ্গুর মামলা সরকারের অস্বস্তি আরও বাড়িয়েছে। কারণ অনিচ্ছুক কৃষকরা জমি ফেরতের বিষয়ে ধৈর্য হারাচ্ছেন।
এই পরিস্থিতিতে শিল্পমন্ত্রীর নতুন আর্জি, বিনিয়োগকারীদের ওপর পরোক্ষভাবে হলেও চাপ তৈরি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।