নজিরবিহীন নির্দেশিকা, পুলিস সুপারদের মূল্যায়ন করবেন মুখ্যমন্ত্রী
নজিরবিহীন নির্দেশ রাজ্যসরকারের। এবার থেকে মুখ্যমন্ত্রী জেলার পুলিস সুপারদের মূল্যায়ন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। এতদিন পর্যন্ত এই মূল্যায়ন করতেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব। একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের হাতে মূল্যায়নের ভার না থাকায় তাঁদের পদোন্নতি থেকে শুরু করে চাকরির ভবিষ্যত সবকিছু নিয়ে আশঙ্কিত রাজ্যের আইপিএস মহল। এ এক নজিরবিহীন নির্দেশ। যাতে রাজ্যের আইপিএস দের চাকরির ভবিষ্যত কার্যত নির্ধারিত করে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এহেন নির্দেশিকা আদতে পুলিসকে রাজনৈতিক প্রভাবে কাজ করতে বাধ্য করার এক ফল বলে মনে করা হচ্ছে।
নজিরবিহীন নির্দেশ রাজ্যসরকারের। এবার থেকে মুখ্যমন্ত্রী জেলার পুলিস সুপারদের মূল্যায়ন করবেন বলে বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। এতদিন পর্যন্ত এই মূল্যায়ন করতেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব। একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের হাতে মূল্যায়নের ভার না থাকায় তাঁদের পদোন্নতি থেকে শুরু করে চাকরির ভবিষ্যত সবকিছু নিয়ে আশঙ্কিত রাজ্যের আইপিএস মহল। এ এক নজিরবিহীন নির্দেশ। যাতে রাজ্যের আইপিএস দের চাকরির ভবিষ্যত কার্যত নির্ধারিত করে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এহেন নির্দেশিকা আদতে পুলিসকে রাজনৈতিক প্রভাবে কাজ করতে বাধ্য করার এক ফল বলে মনে করা হচ্ছে।
১)পুলিস সুপাররা নিজেদের রিপোর্ট তৈরি করতেন।
২) সেই রিপোর্টে রিপোর্টিং অথরিটি হিসাবে নিজেদের মতামত জানাতেন ডিআইজি।
৩) এই রিপোর্ট যাবে ডিজির কাছে। তিনি রিভিউ করতেন।
৪) সবমিলিয়ে এই রিপোর্ট গ্রহণ করতেন স্বরাষ্ট্রসচিব।
এটাই ছিল এতদিনের নয়ম। নতুন নিয়ম অনুসারে, পুলিস সুপাররা নিজেদের রিপোর্ট তৈরি করবেন। সেই রিপোর্টে রিপোর্টিং অথরিটি হিসাবে নিজের মতামত জানাবেন ডিজি এবং আইজিপি। সেই রিপোর্ট যাবে স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে। তিনি রিভিউ করবেন। সবমিলিয়ে সেই রিপোর্ট গ্রহণ করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই নতুন নিয়মে আশঙ্কিত আইপিএস অফিসাররা।
আইপিএস মহলে ইতিমধ্যে এই নির্দেশিকা ঘিরে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
১) কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তি তাঁদের চাকরির ভবিষ্যত নির্ধারণ করবেন। অর্থাত মুখ্যমন্ত্রীর মন জুগিয়ে চলা তাঁদের কাজ হবে।
২) শাসক দলের পছন্দের কাজ না করলে বিরাগভাজন হতে পারেন আইপিএস অফিসার। সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ওপর বিরূপ হতে পারেন।
৩) প্রশাসনিক দায়বদ্ধতা নয়, রাজনৈতিক দায়বদ্ধতাই তাঁকে মেনে চলতে হবে। তা নাহলে তাঁর পদোন্নতি আটকে যেতে পারে।
৪) অর্থাৎ রাজনৈতিক প্রভাবের কথা মাথায় রেখেই প্রতিনিয়ত কাজ করতে হবে একজন আইপিএস অফিসারকে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এমন নির্দেশিকা আদতে পুলিস প্রশাসনকে প্রভাবিত করার উদ্যোগ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।