কলকাতার দুটি সরকারি হাসপাতালেই বেহাল অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা

প্রস্তুত ছিল না বহরমপুর। কতটা প্রস্তুত কলকাতা? আগুন লাগলে সামাল দিতে পারবে তো শহরের নামজাদা সরকারি হাসপাতালগুলি? মেডিক্যাল কলেজ ও NRS ঘুরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখল ২৪ ঘণ্টা। আমরির আতঙ্ক আরও একবার উস্কে দিল বহরমপুর।

Updated By: Aug 28, 2016, 06:09 PM IST
কলকাতার দুটি সরকারি হাসপাতালেই বেহাল অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা

ওয়েব ডেস্ক: প্রস্তুত ছিল না বহরমপুর। কতটা প্রস্তুত কলকাতা? আগুন লাগলে সামাল দিতে পারবে তো শহরের নামজাদা সরকারি হাসপাতালগুলি? মেডিক্যাল কলেজ ও NRS ঘুরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখল ২৪ ঘণ্টা। আমরির আতঙ্ক আরও একবার উস্কে দিল বহরমপুর।

অথচ, এমনটা তো হওয়ার কথা নয়। আমরির পর হাসপাতালে অগ্নি নির্বাপন নিয়ে একাধিক নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য দফতর।  নির্দেশিকায় বলা হয়-

আরও পড়ুন- মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রহস্য বাড়াল এক যুবক

১) প্রতিটি হাসপাতালে অগ্নিনির্বাপণ পরিকাঠামো ঢেলে সাজাতে হবে।
২) ফায়ার ও স্মোক অ্যালার্ম লাগাতে হবে।
৩) প্রতিটি ওয়ার্ডে স্প্রিঙ্কলারের ব্যবস্থা করতে হবে।
৪) লাগাতে হবে অটোমেটিক অ্যালার্ম সিস্টেম।
৫) আপাতকালীন পরিস্থিতিতে বেরোনোর জন্য যথেষ্ট ফাঁকা জায়গা ও এমার্জেন্সি এক্সিটের ব্যবস্থা থাকা দরকার।

স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ কতটা মানছে হাসপাতালগুলি? জেলা নয়, ক্যামেরা নিয়ে আমরা হাজির হয়েছিলাম শহরের দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালে।

মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। কলকাতার চিকিত্সা মানচিত্রে অতি গুরুত্বপূর্ণ লাইফলাইন। প্রতিদিন হাজার হাজার রোগীর ভিড়, সঙ্গে আত্মীয়রা। আর অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা? এমার্জেন্সি ওয়ার্ড হোক কিংবা গাইনোকলজি। ছবিটা একই।  ফায়ার অ্যালার্মের বক্স রয়েছে। কিন্তু, সেখানে অ্যালার্মের কোনও অস্তিত্ব নেই। তার জায়গায় পড়ে ব্যবহৃত গ্লাভস। অগ্নিনির্বাপনের জন্য লাগানো হয়েছে জলের পাইপ। তবে, রিজার্ভারের হদিশ নেই।  করিডরে গাদাগাদি করে শুয়ে রোগীরা। স্প্রিঙ্কলার টিকিও নেই।  দেওয়ালে লাগানো ফায়ার এক্সটিনগুইসার। তবে, একটু কাছ থেকে জরিপ করলেই বোঝা যায় সেগুলো সবই মেয়াদ উত্তীর্ণ। কোনও এককালে এটা ছিল গাইনোকলজি ওয়ার্ডেরএমারজেন্সি একজিট। আজ শুধুই স্মৃত্মি। আতঙ্কে রোগী নিয়ে বাড়ি ফেরার প্রহর গুনছেন আত্মীয়রা।

ছবিটা আরও মলিন NRS-এ।  মেডিক্যাল কলেজে যদিও বা দু-এক জায়গায় ফায়ার অ্যালার্মের ব্যবস্থা চোখে পড়েছে। NRS-র তার চিহ্নমাত্র নেই। নিউবর্ন সেকশনে গাদাগাদি করে শুয়ে সদ্য প্রসূতি মা ও শিশুরা।  ক্যামেরা যত দূর পৌছয় তাতে ধরা পড়ল না অগ্নি নির্বাপনের ন্যূনতম কোনও ব্যবস্থা। নিয়ম বাঁচাতে করিডরে লাগানো দু-একটা ফায়ার এক্সটিংগুইসার। তবে, মেয়াদ উত্তীর্ণ। তাই আগুন লাগলে উপরওয়ালাই একমাত্র ভরসা।

.