২৪ ঘণ্টার খবরের জের, পার্কস্ট্রিট ধর্ষণ কাণ্ডে বিচারাধীন রুমান খানের ফোন বাজেয়াপ্ত করল জেল কর্তৃপক্ষ
জেলে বসেই নিয়মিত ফেসবুকে আপডেট পোস্ট করত পার্কস্ট্রিট ধর্ষণ কান্ডে বিচারাধীন রুমান খান, নাসির খান ও সুমিত বাজাজ। ২৪ ঘণ্টায় এই খবর প্রকাশ পাওয়ার পরই নড়েচড়ে বসল জেল কর্তৃপক্ষ। বাজেয়াপ্ত করা হল রুমান খানের ফোন। যদিও, তল্লাসির সময় বাকি দুজনের কাছ থেকে মোবাইল ফোন পাওয়া যায়নি।
পশ্চিমবঙ্গের এডিজি(সংশোধনাগার) অধীর শর্মা জানান, "আমরা রুমান খানের কাছ থেকে অ্যানড্রয়েড ফোন বাজেয়াপ্ত করেছি। একটি থ্রিজি ইন্টারনেট যুক্ত সিম কার্ড এই ফোনে ব্যবহার করা হত। রুমানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হবে।" রুমান খানের সেল ও ফোনের কল লিস্টও খতিয়ে দেখছে জেল কর্তৃপক্ষ। এই মুহূর্তে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি রয়েছে রুমান খান। অন্যদিকে দমদম জেলে বিচারাধীন অবস্থায় থাকা নাসির খান ও সুমিত বাজাজের কাছ থেকে তল্লাসি চালিয়ে কোনও ফোন উদ্ধার করতে পারেনি জেল কর্তৃপক্ষ।
তবে জেলে নিষিদ্ধ সামগ্রীর তালিকায় মোবাইল ফোন না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে নিয়ম ভাঙার অভিযোগ আনতে পারেনি জেল কর্তৃপক্ষ। পশ্চিমবঙ্গ সংশোধনাগার পরিষেবার উচ্চ আধিকারিক জানান, স্বরাষ্ট্র সচিবকে তিন বার চিঠি লিখে জেলে নিষিদ্ধ সামগ্রীর ব্যপারে কড়া ব্যবস্থা নিতে বলা হলেও এই বিষয়ে আমোল দেওয়া হয়নি। তবে খবর প্রকাশিত হওয়ার পরই রুমান, নাসির ও সুমিত ৩ জনেই নিজেদের ফেসবুক প্রোফাইল নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছে।
২০১২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে পার্কস্ট্রিটে চলন্ত গাড়িতে সুজেট জর্ডনকে ধর্ষণ করে রুমান খান, সুমিত বাজাজ, নাসির খান ও কাদের খান। মূল অভিযু্ক্ত কাদের খান এখনও পলাতক। গত ১৩ মার্চ এনসেফ্যালাইটিসে আক্রান্ত হয়ে কলকাতার এক হাসপাতালে মৃত্যু হয় সুজেটের।