বিচ্ছেদের আগেই দ্বিতীয় বিয়ের ঘটনায় ধৃতদের পুলিসি হেফাজতের নির্দেশ
বিচ্ছেদ না নিয়েই দ্বিতীয়বার বিয়ের ঘটনায় ধৃতদের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। বুধবারই অভিযুক্ত রাজেশ গিরি, তাঁর বাবা কৃষ্ণভগবান গিরি সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃতদের ৪ জুলাই পর্যন্ত পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচ্ছেদ না নিয়েই দ্বিতীয়বার বিয়ের ঘটনায় ধৃতদের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। বুধবারই অভিযুক্ত রাজেশ গিরি, তাঁর বাবা কৃষ্ণভগবান গিরি সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিস। ধৃতদের ৪ জুলাই পর্যন্ত পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গেই অভিযোগকারী পূজা কউরের গোপন জবানবন্দি নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছে আদালত। বৃহস্পতিবারই, চিতপুর থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অভিযোগকারী পূজা কউরকে।
স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ে রুখতে তিন তিনটি থানার দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিধান সরণির বাসিন্দা পূজা কউর। বুধবার সকালে লালবাজারে জয়েন্ট সিপি ক্রাইমের দ্বারস্থ হন পূজা কউর। তাদের পরামর্শে বুধবার ফের চিতপুর থানায় স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। তবে পূজার অভিযোগ, এরপরেও তাঁদের সঙ্গে বিয়ের আসরে যায়নি পুলিস। অভিযোগ, সেখান থেকে তাঁদের হেনস্থা করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে ফের জয়েন্ট সিপি ক্রাইমের নির্দেশে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চিত্পুর থানার পুলিস। অভিযুক্ত রাজেশ গিরি, তাঁর বাবা কৃষ্ণভগবান গিরি এবং তপন বিশ্বাস, অভিষেক সাহা ও মহম্মদ ইমরানকে গ্রেফতার করা হয়। চিতপুর এবং ফুলবাগান থানায় এ নিয়ে দুটি অভিযোগ দায়ের হয়। চিতপুর থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন, হুমকি, বিচ্ছেদ না করে বিয়ে ৪৯৮এ , ৫০৬ এবং ৩৪এ ধারায় মামলা রুজু হয়। ফুলবাগান থানায় হুমকি , ভাঙচুর এবং চুরির অভিযোগ, ৩৪১, ৪২৭, ৩৮৯ ধারায় মামলা হয়। দুটি মামলাতেই ধৃতদের সাতদিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
২০১০-এর ২৫ এপ্রিল বিধান সরণীর বাসিন্দা পূজা কউরের সঙ্গে বিয়ে হয় ১১ নম্বর কাশীপুর রোডের বাসিন্দা রাজেশ গিরির। তবে সাংসারিক অশান্তির জেরে নৈনিতালে থাকতে শুরু করেন গিরি দম্পতি। প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে আইনি বিচ্ছেদের আগেই দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে গেছিলেন রাজেশ গিরি। এরপরই পুলিসের দ্বারস্থ হন পূজা। কিন্তু পরপর তিনটি থানায় ঘুরেও কোনও লাভ হয়নি বলেই অভিযোগ পুজার। এরপর বুধবার সকালে বাধ্য হয়ে লালবাজারে যান পূজা।
গোটা ঘটনায় ফের প্রশ্ন উঠেছে কলকাতা পুলিসের ভূমিকা নিয়ে। পূজার প্রশ্ন, প্রথমেই যদি সক্রিয় ভূমিকা নিত তিন-তিনটি থানা তবে কী আটকানো সম্ভব হতো না এই অবৈধ দ্বিতীয় বিয়ে?