সল্টলেকে ডাকাতি, কমিশনারেট হলেও বদলায়নি পুলিসের গদাইলস্করি চাল

ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটল সল্টলেকের এডি ব্লকে। গতকাল রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ একশো পঁচিশ নম্বর বাড়িতে তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে অবাধে লুঠপাট চালায় এক মহিলা সহ ছ`জনের একটি সশস্ত্র দুষ্কৃতী দল। তারা আলমারির লকার থেকে গয়না-সহ আনুমানিক লক্ষাধিক টাকার জিনিস নিয়ে নিয়ে চম্পট দেয়।

Updated By: Apr 30, 2012, 04:42 PM IST

ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটল সল্টলেকের এডি ব্লকে। গতকাল রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ একশো পঁচিশ নম্বর বাড়িতে তালা ভেঙে ঘরে ঢুকে অবাধে লুঠপাট চালায় এক মহিলা সহ ছ`জনের একটি সশস্ত্র দুষ্কৃতী দল। তারা আলমারির লকার থেকে গয়না-সহ আনুমানিক লক্ষাধিক টাকার জিনিস নিয়ে নিয়ে চম্পট দেয়। বাধা দিতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের চপারের আঘাতে জখম হন গৃহকর্তা সুরেন্দ্র সিং দাভর। পুলিসকে এব্যাপারে জানিয়েও কোনও ফল হয়নি বলে তাঁর অভিযোগ।
রবিবার রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ তালা ভাঙার শব্দে ঘুম ভেঙে যায় সল্টলেকের এডি ব্লকের ১২৫ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা সুরেন্দ্র সিং দাভর ও তাঁর পরিবারের। কিছুক্ষণ পরেই তাঁরা বুঝতে পারেন, শুধু গ্রিলে লাগানো তালাই নয়। বাইরের কাঠের দরজার ছিটকিনি ভেঙে, বাড়ির ভিতরে ঢুকে পড়েছে কয়েকজন দুষ্কৃতী। সকলের মুখ কাপড়ে ঢাকা থাকায়, হামলাকারীদের চেনার উপায় ছিল না পেশায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের সল্টলেক শাখার ম্যানেজার সুরেন্দ্র সিং দাভরের। দুষ্কৃতীদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র থাকায় প্রথমে ভয় পেয়ে যান গৃহকর্তা। ডাকাত পড়েছে, এটা বোঝার পরই তিনি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। 
 
দুই মেয়ে ও স্ত্রীকে বাঁচাতে, সুরেন্দ্র সিং দুষ্কৃতীদের দাবি মেটান। এরপরই তারা অবাধে লুঠপাট চালিয়ে আলমারির লকারে থাকা নগদ টাকা ও গয়না নিয়ে পালিয়ে যায়। তারপরই সাহায্যের জন্য পুলিসে ফোন করেন গৃহকর্তা। সুরেন্দ্র সিং দাভরের দাবি, ডাকাতি চলাকালীন প্রতিবেশীরাও ফোন করে পুলিসকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও ফল হয়নি।
বদলি হওয়ার সুবাদে এক বছর আগে সল্টলেকের এডি ব্লকে বসবাস করতে শুরু করেন দাভর পরিবার। তাঁর বাড়িতে নজরদারি চালানো হচ্ছে। এই অভিযোগে গত সেপ্টেম্বর মাসে উত্তর বিধাননগর থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন সুরেন্দ্র সিং দাভর। অথচ তার পরেও পুলিস ব্যবস্থা না নেওয়ায়, দুষ্কৃতীদের এই বাড়বাড়ন্ত বলে তাঁর দাবি।
 

.