সারদায় এ বার গ্রেফতার ব্যবসায়ী শান্তুনু ঘোষ
সারদায় এবার গ্রেফতার ব্যবসায়ী শান্তুনু ঘোষ
সারদাকাণ্ডে এবার ব্যবসায়ী শান্তনু ঘোষকে গ্রেফতার করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। শান্তনু ঘোষের কাছ থেকেই ২৬ কোটি টাকা দিয়ে একটি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যম কিনেছিলেন সুদীপ্ত সেন। গ্লোবাল অটোমোবাইলস নামে একটি মোটর গাড়ি নির্মাণ কারখানা ছিল শান্তনু ঘোষের। যদিও তাতে উত্পাদন হত না।
ওই কারখানাটিও আনুমানিক ৫০ কোটি টাকার বিনিময়ে শান্তনু ঘোষের কাছ থেকে কিনে নেন সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেন। এই ব্যবসায়িক লেনদেনের আড়ালে বড় ধরনের আর্থিক তছরূপ হয়েছে বলে সন্দেহ ইডি গোয়েন্দাদের। বিশাল অঙ্কের টাকা বাইরে পাচার হয়ে গিয়ে থাকতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে। সুদীপ্ত সেনকে কারখানা বিক্রি করে দেওয়ার পরেও ওই সংস্থার ভুয়ো নথি দেখিয়ে শান্তনু ঘোষ ব্যাঙ্ক থেকে প্রায় ১৯০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সফ্টওয়্যার কারচুপির পরিকল্পনা কার? হদিশ পেতে, সারদার আমানত সংগ্রহে ব্যবহত সফ্টওয়্যার নির্মাতা সংস্থাকে ডেকে পাঠাচ্ছে সিবিআই। সেইসঙ্গে জেরা করা হবে সারদাগোষ্ঠীর কর্মীদেরও। আমানত সংগ্রহের জন্য সারদা গোষ্ঠী সাফারি নামে একটি সফ্টওয়্যার ব্যবহার করত। সেই সফ্টওয়্যার থেকেই আমানতকারীদের দেওয়া হত রশিদ । সিবিআইয়ের অভিযোগ, এই সফ্টওয়্যারে মধ্যে রয়েছে আমানতকারীদের দেউলিয়া হবার রহস্য। সারদার তৈরি অত্যাধুনিক সফ্টওয়্যারের সাহায্যেই আমানতকারীর টাকা নয়ছয় করা হয়েছে।
আমানতকারীদের জন্য যে জমি বরাদ্ধ করা হত, তা কিছুদিন পর কোম্পানির কাছে ফিরে আসত। এই ব্যবস্থা করা হয়েছিল সফ্টওয়্যারে কারচুপি করেই। সফ্টওয়্যারে কারচুপি কার পরিকল্পনা, তা জানতে ইতিমধ্যেই সুদীপ্ত সেনকে কয়েকদফা জেরা করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। উঠে এসেছে সারদা গোষ্ঠীর কয়েকজন শীর্ষ স্থানীয় কর্মচারীর নাম। যারা এই সফ্টওয়্যার নির্মাতা সংস্থার সঙ্গে সুদীপ্ত সেনকে যোগাযোগ করিয়ে দেয়। সিবিআই সূত্রে খবর, ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে সারদার সব কম্পিউটার।
সফ্টওয়্যার কারচুপির পেছনে রয়েছে গভীর চক্রান্ত, সন্দেহ তদন্তকারীদের। তাই নির্মাতা সংস্থার কর্মী ছাড়াও সারদারকয়েকজন বড় এজেন্টকেও সন্দেহের তালিকায় রাখছে সিবিআই। প্রয়োজনে গ্রেফতার করা হতে পারে এই এজেন্টদের।