সারদা কাণ্ডের তদন্ত ভার কি সিবিআইয়ের হাতে? নজর টাইম লাইনে
সারদা কেলেঙ্কারির তদন্ত ভার কি শেষ পর্যন্ত সিবিআইয়ের হাতেই যাচ্ছে? বল এখন সুপ্রিম কোর্টে। সিবিআই তদন্তে আপত্তি কেন রাজ্য সরকারের ? প্রশ্নটা করেছে সর্বোচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ। আসুন, একবার দেখে নেওয়া যাক সারদা- কাণ্ডে গত দশ মাসের কিছু ঘটনা, কিছু মন্তব্য।
সারদা কেলেঙ্কারির তদন্ত ভার কি শেষ পর্যন্ত সিবিআইয়ের হাতেই যাচ্ছে? বল এখন সুপ্রিম কোর্টে। সিবিআই তদন্তে আপত্তি কেন রাজ্য সরকারের ? প্রশ্নটা করেছে সর্বোচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ। আসুন, একবার দেখে নেওয়া যাক সারদা- কাণ্ডে গত দশ মাসের কিছু ঘটনা, কিছু মন্তব্য।
গত বছর চোদ্দ-পনেরোই এপ্রিল নাগাদ সারদা কেলেঙ্কারির কথা প্রথম প্রকাশ্যে আসে। শুরু হয় বিক্ষোভ। জানা যায়, উধাও সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন।
২৩ এপ্রিল, ২০১৩: জম্মু-কাশ্মীরের শোনমার্গ থেকে গ্রেফতার সুদীপ্ত সেন।
২৪ এপ্রিল, ২০১৩: প্রকাশ্যে এল সিবিআইকে লেখা সুদীপ্ত সেনের চিঠি। ছয়ই এপ্রিলের তারিখ দেওয়া চিঠিতে সুদীপ্ত সেন সিবিআই হস্তক্ষেপের দাবি জানান।
সুদীপ্ত সেনের চিঠিতে দুই সাংসদ কুণাল ঘোষ, সৃঞ্জয় বসুর নাম। মিডিয়ায় ফাঁস হচ্ছে মদন মিত্র, শতাব্দী রায়দের সারদা ঘণিষ্ঠতার কথা। সে সময় দলের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন,
"কুনাল চোর ? টুম্পাই চোর ? মদন চোর ? মুকুল চোর ? আমি চোর ? আর তোমরা সব সাধু ?"
ক্লিনচিট পাওয়া সেই কুণালকেই তেইশে নভেম্বর গ্রেফতার করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিস। আর গ্রেফতার হওয়ার পরে পুলিস হেফাজত থেকেই ফেসবুক পোস্টে তৃণমূল সাংসদ কুণাল ঘোষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুকুল রায়, কে ডি সিং, মদন মিত্র-সহ এগারো জনের নাম লিখে বলেছিলেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে সারদা কারবারের এ টু জেড জানা যেতে পারে। সুদীপ্তর গ্রেফতারির পর তাঁর মিডিয়া ব্যবসা বকলমে মুকুল রায় দেখভাল করছেন বলেও অভিযোগ করেন কুণাল। কিন্তু সে সব নিয়ে কোনও নড়াচড়া হয়নি।
সিবিআইকে লেখা সুদীপ্ত সেনের চিঠি কি তাঁরই লেখা, গ্রেফতারের আগে প্রশ্নটা তুলেছিলেন কুণাল । সাত মাস আগেই সে প্রশ্নটা তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা। এরমধ্যেই সুদীপ্ত সেনও দাবি করেন সিবিআই-কে দেওয়া চিঠি তাঁর লেখা নয়। এক্কেবারে একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে সারদা-কাণ্ডে সিবিআই তদন্তেরও বিরোধিতা করেন সুদীপ্ত। বারবার ঠিক যে কথাটা বলছিল, বলছে রাজ্য সরকারও।
অস্বস্তির প্রশ্ন:
গ্রেফতার হওয়ার পরে নানা ছুতোয় সরকার আদালতে কুণালের গোপণ জবানবন্দি আটকে দেয়। তড়িঘড়ি চার্জ গঠন করে পিএফ প্রতারণা কাণ্ডে সুদীপ্ত সেনের তিন বছরের কারাদণ্ডের ব্যবস্থা করে সরকার সিবিআই তদন্ত ঠেকাতে চাইছে, সে অভিযোগও উঠছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, অতীতে বারবার বিভিন্ন ইস্যুতে সিবিআই তদন্ত চাওয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন সারদা কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত চাইছেন না। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টও সেই প্রশ্ন করল সরকারপক্ষকে।