সরকারি নির্দেশিকা উপেক্ষা, ধর্মঘটে বন্ধ অধিকাংশ স্কুলই
মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ উপেক্ষা করেই ধর্মঘটের দিন বন্ধ থাকছে রাজ্যের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। লিখিতভাবে কোনও নির্দেশিকা জারি না হলেও, অধিকাংশ স্কুল কর্তৃপক্ষই ছাত্রছাত্রীদের জানিয়ে দিয়েছে অসুবিধায় পড়লে ধর্মঘটের দিন স্কুল না আসতে।
মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ উপেক্ষা করেই ধর্মঘটের দিন বন্ধ থাকছে রাজ্যের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। লিখিতভাবে কোনও নির্দেশিকা জারি না হলেও, অধিকাংশ স্কুল কর্তৃপক্ষই ছাত্রছাত্রীদের জানিয়ে দিয়েছে অসুবিধায় পড়লে ধর্মঘটের দিন স্কুল না আসতে। সরকারি ও সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ধর্মঘটের দিন শিক্ষকদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করেছে রাজ্য সরকার। অনুপস্থিত থাকলে, দেওয়া হয়েছে বেতন কাটার হুঁশিয়ারিও। ধর্মঘটের দিন স্কুল কলেজ খোলা রাখতে ইতিমধ্যেই আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ধর্মঘট রুখতে ইতিমধ্যেই কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে রাজ্য সরকার। সরকারি ও সরকারের সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে ধর্মঘটের দুদিন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ধর্মঘটের দিন অনুপস্থিত থাকলে অনেকটা রাজ্য সরকারের কর্মচারীদের মতোই, এক্ষেত্রেও বেতন কাটার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর হুমকি সত্ত্বেও, ওয়েবকুটা, এবিটিএ-র মতো বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনগুলি জানিয়েছে তারা এই ধর্মঘটকে সমর্থন করবে। ধর্মঘটের কারণে, সিআইএসসিই বোর্ডের পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। কুড়ি তারিখ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা রয়েছে। সেই পরীক্ষা এখনও স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়নি। যদিও, অনেকেই মনে করছেন, ধর্মঘটের কারণে যাঁরা আসতে পারবেন না তাঁদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা হতে পারে।