রাজ্যে গণতন্ত্র ফেরাতে ঘুরিয়ে জোটবার্তা সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির
জোট ইস্যুতে বঙ্গ ব্রিগেডের জয়। ঘুরিয়ে জোটবার্তা দিল সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটি। কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠকে সীতারাম ইয়েচুরি জানান, রাজ্যে গণতন্ত্র বিপন্ন। গণতন্ত্র ফেরাতে ক্ষমতা থেকে হঠাতে হবে তৃণমূলকে। এর জন্য সব গণতান্ত্রিক দলের সহযোগিতা চাইবে সিপিএম। কীভাবে বিষয়টি কার্যকরা করা হবে তা ঠিক করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের রাজ্য কমিটিকে। রাজ্যের প্রস্তাব বিবেচনা করবে পলিটব্যুরো।
ওয়েব ডেস্ক : জোট ইস্যুতে বঙ্গ ব্রিগেডের জয়। ঘুরিয়ে জোটবার্তা দিল সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটি। কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠকে সীতারাম ইয়েচুরি জানান, রাজ্যে গণতন্ত্র বিপন্ন। গণতন্ত্র ফেরাতে ক্ষমতা থেকে হঠাতে হবে তৃণমূলকে। এর জন্য সব গণতান্ত্রিক দলের সহযোগিতা চাইবে সিপিএম। কীভাবে বিষয়টি কার্যকরা করা হবে তা ঠিক করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের রাজ্য কমিটিকে। রাজ্যের প্রস্তাব বিবেচনা করবে পলিটব্যুরো।
কংগ্রেসের হাত ধরা নিয়ে শেষপর্যন্ত মধ্যপন্থাই নিল সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি। কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত কোনও অবস্থাতেই কংগ্রেসের সঙ্গে সরাসরি জোট নয়। তবে, ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক দলগুলোকে নিয়ে বাংলার ভোটে সিপিএম কী ভাবে এগোবে, তা ঠিক করবে দলের রাজ্য কমিটি। কেন্দ্রীয় কমিটিতে সূর্যকান্ত মিশ্র-গৌতম দেবরা জোটের পক্ষে জোর সওয়াল করলেও বিরোধিতা করে কেরল লবি। বিরোধিতা করেন অন্য রাজ্যের নেতারাও। কেন্দ্রীয় কমিটিতে সংখ্যালঘু হলেও আলিমুদ্দিনের নেতাদের যুক্তি মেনে যাতে সাপও মরে লাঠিও না ভাঙে সেই রাস্তাতেই হাঁটল এ কে গোপালন ভবন। সিপিএমের সিদ্ধান্তের পর সোনিয়া গান্ধী কী সিদ্ধান্ত নেন এখন তার ওপরই নির্ভর করছে ভোটের আগে জল কতদূর গড়াবে। জোট না হলেও বিধানসভা ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদের আসন সমঝোতা, নাকি শিলিগুড়ি মডেলের ধাঁচে কৌশলী সমঝোতা হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
সিপিএমের বেঙ্গল লাইন সরাসরি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট চেয়েছিল। কেরল লবির চাপে সেটা ঘোষণা করতে পারলেন না সীতারাম ইয়েচুরি। কিন্তু, কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনার জন্য আলিমুদ্দিনকে অনুমতি দিয়েছেন তিনি। তৃণমূলকে হারাতে বামেরা কি কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতায় যাবে? সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি সিপিএম সাধারণ সম্পাদক।