এক সঙ্গে শোভন-বৈশাখী, ধরা পড়ল গোপন ক্যামেরায়

ভাইরাল ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, একটি শাড়ির দোকানে কেনাকাটা করছেন বৈশাখী।

Updated By: Nov 25, 2018, 07:56 PM IST
এক সঙ্গে শোভন-বৈশাখী, ধরা পড়ল গোপন ক্যামেরায়

নিজস্ব প্রতিবেদন: মন্ত্রিত্ব থেকে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ইস্তফার পরই শিরোনামে উঠে এসেছেন তাঁর 'বন্ধু' বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, বৈশাখীর কারণেই কষ্ট করে পাওয়া রাজ্যপাট থেকে রাতারাতি পতন হল শোভনবাবুর। এবার ফেসবুকে ভাইরাল হল একটি ভিডিওয়, যাতে দেখা যাচ্ছে শাড়ির দোকানে কেনাকাটায় ব্যস্ত শোভন ও বৈশাখী।

ভাইরাল ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, একটি শাড়ির দোকানে কেনাকাটা করছেন বৈশাখী। রয়েছেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। আর গোটা ঘটনাটি উঠে এসেছে সেখানে রাখা গোপন ক্যামেরায়। দোকানের কোনও কর্মীই সম্ভবত নিজের মোবাইলে সেটি তুলেছেন। ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি জি ২৪ ঘণ্টা ডট কম। কোন দোকানে দুজন কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন, তা স্পষ্ট নয়। দোকানের নাম জানাও সম্ভব হয়নি। এমনকি কবে এই ভিডিও তোলা হয়েছে, সে সম্পর্কেও কোনও তথ্য নেই। আপাতত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দাপিয়ে বাড়াচ্ছে এই ভিডিও। 

গত ২০ নভেম্বর মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে মেয়রের পদ থেকেও পদত্যাগ করেন। তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে টানাপোড়েনের জেরে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কাজকর্ম ব্যাহত হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও সাংবাদিক বৈঠকে সে অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন প্রাক্তন মেয়র ও মন্ত্রী। শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, "আমি নিজের মনকে শক্ত করে কাজ চালিয়ে গিয়েছি। কোথাও আমার মনোযোগের কোনও অভাব ছিল না। সমস্ত দায়িত্ব পালন করেছি। আমার পদত্যাগের পর কলকাতা পুরসভায় কোনও ফাইল পেন্ডিং আছে, কেউ বলতে পারবে না।"

তিনি দাবি করেন, রত্না চট্টোপাধ্যায় মিথ্যাচার করছেন। বলেন, "আমার মত বিপদে যেন চরম শত্রুও না পড়ে। যে ধরনের শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করা হয়েছে, তারপর আমি মরেও যেতে পারতাম। কিন্তু বেঁচে এখানে এসে বসতে পেরেছি।" বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'শুভানুধ্যায়ী' হিসেবে উল্লেখ করে, তিনি এদিন ফের একবার সমস্ত অভিযোগ অমূলক বলে দাবি করেন। জানান, ইডির জিজ্ঞাসাবাদের সময় বৈশাখীর সঙ্গে বসেই আইনি বিষয়ে আলোচনা করতেন রত্নাদেবী।

শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে 'সম্পর্কে'র সুবাদে কলকাতা পুরসভা ও মন্ত্রিত্বের কাজে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় হস্তক্ষেপ করতেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সাংবাদি বৈঠকে সেই প্রসঙ্গ উঠতেই চটে যান শোভন চট্টোপাধ্য়ায়। বলেন, "আমি বাচ্চা ছেলে নই। কোনটা কী করতে হয়, কোন সিদ্ধান্তটা কখন নিতে হয় আমি জানি।" কেউ কখনও কোনওভাবে পুরসভা বা মন্ত্রিসভার কাজে হস্তক্ষেপ করেননি বলে সাফ জানান প্রাক্তন মেয়র-মন্ত্রী।

 আরও পড়ুন- মন্ত্রিত্ব দিলে দল ছাড়ার কথা বলেছিলেন কেন? ফেস অফে ভাঙলেন অনুব্রত 

.