রাজনীতির রোষানলে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান পদ
স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানকে মৌখিকভাবে তাঁর পদ থেকে সরে যাওয়ার কথা জানাল শিক্ষা দফতর। তবে চেয়ারম্যান সরে দাঁড়াতে অস্বীকার করছেন। তিনি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী যদি তাঁকে সরে যাওয়ার বার্তা পাঠান তাহলেই সরবেন। কিন্তু তৃণমূলের শিক্ষা সেলের এই প্রাক্তন প্রধান ১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত। কেন হঠাত্ এভাবে পদ থেকে সরানোর উদ্যোগে কে বা কারা রয়েছেন এ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিকমহলে জল্পনা।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানকে মৌখিকভাবে তাঁর পদ থেকে সরে যাওয়ার কথা জানাল শিক্ষা দফতর। তবে চেয়ারম্যান সরে দাঁড়াতে অস্বীকার করছেন। তিনি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী যদি তাঁকে সরে যাওয়ার বার্তা পাঠান তাহলেই সরবেন। কিন্তু তৃণমূলের শিক্ষা সেলের এই প্রাক্তন প্রধান ১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত। কেন হঠাত্ এভাবে পদ থেকে সরানোর উদ্যোগে কে বা কারা রয়েছেন এ নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিকমহলে জল্পনা।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগের পরীক্ষা ঘিরে এক বছর আগে ব্যাপক বিভ্রান্তি শুরু হয়। বিভিন্ন মহলে এ বিষয়ে নিন্দা করা হয়। কিন্তু রাজ্য সরকার চুপ। কোনও ক্ষেত্রেই কারোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হল না। কিছুদিন আগেই ফল প্রকাশিত হয়। তারপর ইন্টারভিউ ও প্রথম পর্যায়ের কাউন্সেলিং নির্বিঘ্নে হয়। প্রায় বাইশ হাজার প্রার্থীকে চাকরিও দেওয়া হয়।
দ্বিতীয় পর্যায়ে আট হাজার পদের জন্য পরবর্তী কাউন্সেলিং ঘোষণার দিনই শিক্ষা দফতর থেকে নির্দেশ এল সরে দাঁড়াতে হবে চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মণ্ডলকে। মৌখিক নির্দেশে বলা হয় খোদ শিক্ষামন্ত্রী নাকি বলেছেন এই কথা। শিক্ষামন্ত্রী নির্দেশ দেওয়ার কথা অস্বীকার করলেও প্রশ্ন উঠছে তাঁর দফতর স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানকে কেন এই নির্দেশ দিল। কার অঙ্গুলি হেলনে ঘটল এই ঘটনা। পুরোপুরি কি মন্ত্রীর অজ্ঞাতসারেই শিক্ষা দফতর এই নির্দেশ দিল। সূত্র বলছে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা।
তৃণমূল শিক্ষা সেলের এই প্রাক্তন প্রধানের সঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমোর একেবারে ডান হাত বলে পরিচিত এক নেতার বিবাদ দীর্ঘ দিনের। বিবাদের সূত্রপাত, স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে সেই নেতার ঘনিষ্ঠদের চাকরি দিতে হবে। কিন্তু নেতার আবদার মানেননি চেয়ারম্যান। তাই পরীক্ষা বিভ্রাটের সময় শিক্ষা দফতর ছিল চুপ। কিন্তু একুশ হাজার চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে নেতার ঘণিষ্ঠরা চাকরি না পাওয়াতেই কি তৃণমূল নেতার রোষানলে পড়লেন চেয়ারম্যান? আর সেই কারণেই কি শিক্ষা দফতরের হঠাত্ এই নির্দেশ। প্রশ্ন উঠছে, শুধুই কি দলীয় লোকেদের চাকরি করে দিতে এই উদ্যোগ? নাকি এর পিছনে রয়েছে, বাকি আট হাজার পদ যাতে অর্থ এবং সুপারিশের বিনিময় ইচ্ছেমত বিতরণ করা যায়, তার অসত্ উদ্দেশ্য?