SSKM-এ জেলবন্দী আসামীর দেহ লোপাট, কীভাবে মিসিং হল দেহ?
জেলবন্দী আসামীর দেহ লোপাটের অভিযোগ পিজি হাসপাতালে। পুজোর মধ্যে এক জেল বন্দী আসামীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য আনা হয় এসএসকেএম হাসপাতালের মর্গে। ঘটনাচক্রে, অন্য একটি দেহ ময়নাতদন্তের বদলে ওই আসামীর দেহের ময়নাতদন্ত হয়ে যায়।
মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য ও পিয়ালি মিত্র: SSKM-এ জেলবন্দি আসামীর দেহ বদল শনাক্তকরণের সময়ে। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এসএসকেএমের বিরুদ্ধে । ২০ অক্টোবর ময়নাতদন্তের পর আরেক মৃতের পরিবারকে দেহ। দায় কার? তদন্তে পুলিস। ৫ সদস্যের কমিটি গঠন হাসপাতালেরও। পুজোর মধ্যে এক জেল বন্দী আসামীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য আনা হয় এসএসকেএম হাসপাতালের মর্গে। ঘটনাচক্রে, অন্য একটি দেহ ময়নাতদন্তের বদলে ওই আসামীর দেহের ময়নাতদন্ত হয়ে যায়।
আরও পড়ুন, Mamata Banerjee: নাম বলাতে গোপনাঙ্গে অত্যাচার চালাচ্ছে ইডি! বিস্ফোরক মমতা
এমনকী, দ্বিতীয় মৃতের পরিবারের হাতে তুলেও দেওয়া হয় সেই দেহ। তাঁরাও নিয়ে চলে যান। এরপরই মৃত ওই আসামীর দেহ শনাক্তকরণের সময় দেখা যায় ওই দেহই নেই। যদিও এ নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সূত্রের খবর, আসামীর দেহ কীভাবে মিসিং হল জানতে ইতিমধ্যেই পুলিসকে গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখার অনুরোধ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
খুনের মামলা সাজাপ্রাপ্ত আসামী বাবলু পোলে (বয়স ৬০) আমতার বাসিন্দা। জেল সূত্রের দাবি, বছর তিনেক ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। দিন তিনেক আগে ফের অসুস্থ হন। এসকেএম হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ফলে ময়নাতদন্তের জন্য এসএসকেএম মর্গে দেহ পাঠানো হয়। বিকেলে ম্যাজিস্ট্রিয়াল ইনকুয়েস্টের জন্য দেহ আনতে গিয়ে দেখা যায় বাবলুর দেহ গায়েব।
দেহের খোঁজ শুরু হয়। অন্য কোনও পরিবারেরে হাতে সেই দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে কিনা নিশ্চিত হতে সেদিন যে সব দেহ ময়নাতদন্ত করে পরিবারের হাতে তুলে হয়েছে সেগুলোর খোঁজ শুরু করে। ওই পরিবারগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিবার যার মৃত্যু হয়েছে তাদের ছবি পাঠাতে বলা হয় পুলিসের তরফে। যাঁরা ছবি পাঠান সেগুলির সঙ্গে মর্গে থাকা দেহগুলোর মিলিয়ে দেখা হয়।
তার মধ্যে একটি ছবির সঙ্গে মর্গে থাকা একটি দেহের সঙ্গে মিল পাওয়া যায়। ওই পরিবারকে ডেকে পাঠানো হয় তারা এসে চিহ্নিত করে ওটাই তাদের আসল দেহ। স্পষ্ট হয় আগে যে দেহটি এই পরিবারকে দেওয়া হয়েছিল সেটা বাবলু পোলের দেহ। ওই পরিবারের বক্তব্য, দেহে ব্যান্ডেজ ছিল সেলাই ছিল ফলে তারাও ভালো করে চিনতে পারেননি। এই ব্যক্তি উপর থেকে পড়ে গিয়ে আঘাত পেয়েছিলেন। এসএসকেএম ভর্তি ছিল পড়ে মারা যায়।
এদিকে বাবলুর পরিবার ভবানীপুর থানাতে অভিযোগে দায়ের করেছে। ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে নাকি বাবলু মিসিং। যদিও পুলিস জানতে পেরেছে তখনও একবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল বাবলু। পরিবারের অভিযোগে ভিত্তিত অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিস। ডোম ও ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকদের তাদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অনুসন্ধান রিপোর্ট জেল মানবিধিকার কমিশনকে পাঠানো হবে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন, Mamata Banerjee: বিশ্বভারতীতে বাদ রবীন্দ্রনাথের নাম! আন্দোলনের হুঁশিয়ারি মমতার...
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)