পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে সুর নরম রাজ্যের
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে অনেকটাই সুর নরম করল রাজ্য সরকার। পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ নিয়ে এখন আলোচনাতেই জোর দিচ্ছে রাজ্য। আজ পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ইঙ্গিত দিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনকে এব্যাপারে চিঠি পাঠাতে পারে সরকার। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে পঞ্চায়েতমন্ত্রী জানান, "মুখ্যমন্ত্রী ফেরার পরই এবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।" শুরুটা চড়া সুরে করেছিলেন মুকুল রায়।
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে অনেকটাই সুর নরম করল রাজ্য সরকার। পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ নিয়ে এখন আলোচনাতেই জোর দিচ্ছে রাজ্য। আজ পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় ইঙ্গিত দিয়েছেন, নির্বাচন কমিশনকে এব্যাপারে চিঠি পাঠাতে পারে সরকার। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে পঞ্চায়েতমন্ত্রী জানান, "মুখ্যমন্ত্রী ফেরার পরই এবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।" শুরুটা চড়া সুরে করেছিলেন মুকুল রায়। বলেছিলেন, একতরফাভাবেই পঞ্চায়েত ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দেবে রাজ্য। তুলেছিলেন পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ। সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতে অবশ্য সে সুর অনেকটাই নরম করল সরকার।
কথা ছিল সোমবার ভোটের নির্ঘণ্ট জানিয়ে কমিশনকে চিঠি দেবে সরকার। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সে চিঠি কমিশনের কাছে পৌঁছয়নি। সরকার এবং কমিশনের সংঘাত মূলত তিনটি বিষয় নিয়ে। তিন দফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন চায় কমিশন। রাজ্য চায় ভোট হোক দু`দফায়। কেন্দ্রীয় বাহিনী এনে ভোট করানোর পক্ষে কমিশন। কোনওভাবেই তাতে রাজি নয় রাজ্য। প্রথমে রাজ্য পুলিস দিয়ে ভোট করানোর কথা বললেও, পরে অবশ্য কিছুটা সুর নরম করে রাজ্য জানায়, প্রতিবেশী রাজ্য থেকে পুলিস এনে ভোট করাতে তাদের আপত্তি নেই। প্রশ্ন উঠছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীতে কেন এত অনীহা রাজ্যের?
রাজনৈতিক মহলের ধারণা, পরিস্থিতি বুঝেই এখন সুর নরম করছে রাজ্য। কারণ, কমিশনকে এড়িয়ে সরকার একতরফাভাবে ভোটের দিন ঘোষণা করলে নির্বাচনের পুরো দায় বর্তাবে রাজ্যের ওপর। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ইতিহাসে তা হবে নজিরবিহীন ঘটনা। তাছাড়া নির্বাচনে অপ্রীতিকর কিছু ঘটলে সমালোচনার মুখে পড়তে হতে পারে রাজ্যকে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সেই ঝুঁকি নিতে চাইছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য একতরফা কোনও সিদ্ধান্ত নিলে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে কমিশন। যার জেরে আটকে যেতে পারে ভোটপর্বই। সম্ভবত সেকারণেই এখন সংঘাত থেকে আলোচনার পথে যেতে আগ্রহী সরকার।