গান স্যালুটে শেষ শ্রদ্ধা মহাশ্বেতা দেবীকে
প্রয়াত সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হল আজ। কেওড়াতলা শ্মশানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয় গান স্যালুটে। এর আগে রবীন্দ্রসদনে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান গুণমুগ্ধরা। শেষযাত্রায় অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। তাঁর তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া। ছিলেন সাহিত্য ও রাজনীতির জগতের বিশিষ্টজনেরা।
ওয়েব ডেস্ক : প্রয়াত সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হল আজ। কেওড়াতলা শ্মশানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হয় গান স্যালুটে। এর আগে রবীন্দ্রসদনে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান গুণমুগ্ধরা। শেষযাত্রায় অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। তাঁর তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া। ছিলেন সাহিত্য ও রাজনীতির জগতের বিশিষ্টজনেরা।
বেলা দশটা নাগাদ বেলভিউ নার্সিংহোম থেকে রবীন্দ্রসদনে পৌছয় প্রয়াত সাহিত্যিকের মরদেহ। সেখানেই প্রায় ঘণ্টা তিনেক শায়িত ছিল মহাশ্বেতা দেবীর দেহ। একে একে শ্রদ্ধা জানান বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র সহ রাজ্যের অন্যান্য মন্ত্রীরা। শুধু শাসক শিবির নয়। ছিলেন বাম, কংগ্রেস, বিজেপির প্রতিনিধিরাও। প্রয়াত সাহিত্যিককে শ্রদ্ধা জানান বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান, সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।
রাজনীতিকদের পাশাপাশি শ্রদ্ধা জানান শিল্প সাহিত্য মহলের বিশিষ্টজনেরাও। আজীবন কাজ করেছেন সমাজের প্রান্তিক শ্রেণির মানুষের জন্য। তাঁর লেখায় উঠে এসেছে শোষিত, নিপীড়িত মানুষের জীবন যুদ্ধের আখ্যান। লড়াকু, দরদী সমাজযোদ্ধাকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন লোধা, শবর, লেপচা সম্প্রদায়ের মানুষজন।
বেলা ১টায় রবীন্দ্র সদনে এসে পৌছন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রয়াত সাহিত্যিককে শেষ শ্রদ্ধা জানান তিনি। এরপরই শুরু হয় শেষ যাত্রার তোড়জোড়। রবীন্দ্র সদন থেকে কেওড়াতলা মহাশশ্মানের পথে রওনা হয় শোকমিছিল। যাবতীয় ব্যবস্থাপনা সামাল দেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। রবীন্দ্রসদনে দাঁড়িয়ে থেকে এবিষয়ে বার বার নগরপালকে নির্দেশ দেন তিনি। রবীন্দ্র সদন থেকে শোকমিছিলে পা মেলান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দুপুর ২টো নাগাদ কেওড়াতলা মহাশ্মশানে পৌছয় শোকমিছিল। গান স্যালুট দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাজ্য পুলিসের কর্মীরা। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রয়াত সাহিত্যিকের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। আগাগোড়া তদারকিতে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।