লাদাখে পালাতে চেয়েছিলেন সুদীপ্ত, তদন্তে প্রকাশ
কাশ্মীর পেরিয়ে লাদাখে চলে যেতে চেয়েছিলেন সুদীপ্ত সেন ও তাঁর দুই সহযোগী। সেখানে ডেরাও ঠিক করে ফেলেছিলেন তাঁরা। তদন্তে এমনই জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। পূর্ব ভারতে চিটফান্ড প্রতারণার ঘটনা থিতিয়ে গেলে, পশ্চিম ভারতের বিভিন্ন শহরে ব্যবসা শুরুর পরিকল্পনা ছিল সুদীপ্ত সেনের।
কাশ্মীর পেরিয়ে লাদাখে চলে যেতে চেয়েছিলেন সুদীপ্ত সেন ও তাঁর দুই সহযোগী। সেখানে ডেরাও ঠিক করে ফেলেছিলেন তাঁরা। তদন্তে এমনই জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। পূর্ব ভারতে চিটফান্ড প্রতারণার ঘটনা থিতিয়ে গেলে, পশ্চিম ভারতের বিভিন্ন শহরে ব্যবসা শুরুর পরিকল্পনা ছিল সুদীপ্ত সেনের।
শঙ্কর সেন থেকে সুদীপ্ত সেন। এন্টালির হাজরাবাগান থেকে সল্টলেকের মিডল্যান্ড পার্কের ঝাঁ চকচকে অফিস। এক ধাক্কায় প্রকাশ হয়ে গেল আসল চেহারাটা। রাজনীতিবিদ, আমলা, পুলিসকর্তাদের জন্য মাসে কোটি কোটি টাকা খরচ করেও যখন বুঝেছিলেন আর টেকা যাবে না, তখনই পালানোর পরিকল্পনা করেন সুদীপ্ত সেন।
ধরা পড়েছেন সোনমার্গ থেকে। কিন্তু পরিকল্পনা ছিল আরও মারাত্মক। শঙ্কর থেকে সুদীপ্ত হওয়ার পর এবার ফের পরিচয় বদলে ফেলার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। সোনমার্গ থেকে যাওয়ার কথা ছিল লেহ। তারপর ঘাঁটি গাড়ার কথা ছিল লাদাখে। ঠিক হয়ে গিয়েছিল আস্তানাও। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরবর্তী টার্গেট ছিল পশ্চিম ভারত। নতুন পরিচয়ে নতুন সংস্থার মাধ্যমে পশ্চিম ভারতে ফের চিটফান্ডের ব্যবসা শুরুর পরিকল্পনা ছিল সুদীপ্ত সেনের। একশোটির বেশি শাখায় সুদীপ্ত সেনের নামে দুশো দশটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। পশ্চিমবঙ্গের বাইরে রয়েছে পঁচিশটি অ্যাকাউন্ট। কোনও অ্যাকাউন্টেই বেশি দিন টাকা রাখা হত না। সরিয়ে ফেলা হত অন্য অ্যাকাউন্টে। তদন্তে উঠে এসেছে এসব তথ্য।
শনিবারই প্রথম বৈঠক করেন চিটফান্ড প্রতারণায় বিশেষ তদন্তকারী দল। জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি সুদীপ্ত সেন যেহেতু চিটফান্ড ব্যবসার রাজ্যপাট বিস্তার করেছিলেন, তাই এর তদন্তে নেমেছে অসম পুলিসও। শনিবারই অসম পুলিসের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল এবিষয়ে বিধাননগর পুলিস কমিশনারেটের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।