অসহায় প্রশ্ন নিয়ে বেঁচে সুদীপ্তর বাবা
দশটা দিন, যেন দশটা বছর। বুকে পাথর চেপে বসে আছেন তিনি। নিঃসঙ্গ পিতা। সন্তান হারানোর যন্ত্রণায় বিদ্ধ। পুলিস হেফাজতে মৃত্যু হল ছেলের, অথচ নির্বিকার প্রশাসন। কীভাবে মৃত্যু হল, তদন্ত কতদূর, কিছুই জানেন না তিনি। দশদিনেই কি তাঁর ছেলেটাকে ভুলে গেল সবাই? অসহায় প্রশ্ন নিয়ে বেঁচে আছেন সুদীপ্ত গুপ্তর বাবা।
দশটা দিন, যেন দশটা বছর। বুকে পাথর চেপে বসে আছেন তিনি। নিঃসঙ্গ পিতা। সন্তান হারানোর যন্ত্রণায় বিদ্ধ। পুলিস হেফাজতে মৃত্যু হল ছেলের, অথচ নির্বিকার প্রশাসন। কীভাবে মৃত্যু হল, তদন্ত কতদূর, কিছুই জানেন না তিনি। দশদিনেই কি তাঁর ছেলেটাকে ভুলে গেল সবাই? অসহায় প্রশ্ন নিয়ে বেঁচে আছেন সুদীপ্ত গুপ্তর বাবা।
সুদীপ্তর মৃত্যুর পর ঘটে গেছে নানা ঘটনা। সেই সব ঘটনার অভিঘাতে চাপা পড়তে বসেছে সুদীপ্ত গুপ্তর মৃত্যুর তদন্ত। যাই ঘটুক না কেন, সুদীপ্তর মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত দ্রুত শেষ হোক, সামনে আসুক প্রকৃত সত্য, এটাই এই সময়ের দাবি।
স্ত্রী চলে গেছেন আগেই, এবার চলে গেল একমাত্র পুত্র সন্তান। একবুক শূন্যতা নিয়েই এখন দিনযাপন সুদীপ্তর বাবার। এসএফআই-এর বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠছে রাজধানী। বামপন্থীদের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর, আগুন। প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় ভাঙচুর, মারধর। উত্তাল কলকাতাও। কিন্তু যাকে ঘিরে এত কিছু সে-ই তো নেই। তার মৃত্যু তদন্তও এখন বিশ বাঁও জলে।
কেন সুদীপ্ত মৃত্যু রহস্যের তদন্তে এত ঢিলেমি তা নিয়ে বিস্মিত সুদীপ্তর পারিপার্শ্বকও। একমাত্র পুত্রের অকাল মৃত্যুতে নিঃসঙ্গ পিতা। সব হারানোর যন্ত্রণা নিয়েও এখন শুধু সুবিচারের আশা। দাবি করলেন সিবিআই তদন্তের। নানা ঘটনাপ্রবাহে অশান্ত রাজ্য। অস্থির এই বৃদ্ধও। রাজনীতির রঙ নয়, সুদীপ্তর মৃত্যুতদন্ত যেন সত্যের রঙ পায়। এই একমাত্র আশা নিয়ে তিনি অপেক্ষা করেন। বুকে পাথর চেপে।