'সাজানো ঘটনা'য় সাসপেন্ড তারক

মুখ্যমন্ত্রী সাজানো ঘটনা বললেও শেষপর্যন্ত যাদবপুর কাণ্ডে শাস্তি পেলেন এক পুলিস কর্মী। ধর্মঘটের দিন যাদবপুরে সাংবাদিক নিগ্রহের ঘটনায় অভিযুক্ত কনস্টেবল তারক দাসকে সাসপেন্ড করল কলকাতা পুলিস। অভিযুক্ত তারক দাস মেটিয়াবুরুজ থানার কনস্টেবল এবং স্থানীয় তৃণমূল কর্মী হিসেবেও পরিচিত। যদিও ওই ঘটনায় অন্য অভিযুক্তরা এখনও অধরা। 

Updated By: Mar 1, 2012, 04:39 PM IST

মুখ্যমন্ত্রী সাজানো ঘটনা বললেও শেষপর্যন্ত যাদবপুর কাণ্ডে শাস্তি পেলেন এক পুলিস কর্মী। ধর্মঘটের দিন যাদবপুরে সাংবাদিক নিগ্রহের ঘটনায় অভিযুক্ত কনস্টেবল তারক দাসকে সাসপেন্ড করল কলকাতা পুলিস। অভিযুক্ত তারক দাস মেটিয়াবুরুজ থানার কনস্টেবল এবং স্থানীয় তৃণমূল কর্মী হিসেবেও পরিচিত। যদিও ওই ঘটনায় অন্য অভিযুক্তরা এখনও অধরা।  
মঙ্গলবার সাধারণ ধর্মঘটের দিন সকালে যাদবপুরের সিপিআইএম জোনাল অফিসে হামলার খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। অথচ মুখ্যমন্ত্রী ওই ঘটনাটিকে সংবাদমাধ্যমের সাজানো ঘটনা বলে দাবি করেছিলেন।
 
যদিও ক্যামেরায় সংবাদমাধ্যমের উপর হামলার ছবি ধরা পড়েছে। ওইদিন হামলাকারীদের দেখা গিয়েছিল, তাদের মধ্যে ছিলেন তারক দাসও। অবশেষে ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল পুলিস। সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালানোর ঘটনায় তারক দাসকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। শুরু হয়েছে বিভাগীয় তদন্তও। আগে রিজার্ভ ব্যটিলিয়নের কর্মী ছিলেন তারক দাস। পরে তাঁকে মেটিয়াবুরুজ থানায় বদলি করা হয়। এর আগেও তারক দাসের বিরুদ্ধে তোলাবাজি সহ বিভিন্ন অভিযোগ ছিল। গুলি চালানোর ঘটনাতেও তারক দাস অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলছে। এমনকি স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় তার তরফেও তারক দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছিল। অথচ তারক দাস ধরা পড়লেও, ক্যামেরায় আর যাঁদের দেখা গিয়েছিল হামলাকারীর ভূমিকায়, তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিস কী ব্যবস্থা নেয়, সেটায় এখন দেখার বিষয়।

.