Bangla Bandh: ঘুরপথে বনধ সফল করতে চাকা বন্ধ করবেন না, রেলকে হুঁশিয়ারি রাজ্য সরকারের
রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বললেন, 'বাংলায় বনধের রাজনীতি চলে না, যবে থেকে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসকের মুখ্য় ভূমিকায় আছেন, বনধ রাজনীতি বন্ধ হয়ে গিয়েছেন। বনধটা আবার চালাতে হবে, এটা বুঝি ভেবেছেন তাঁরা। বনধ প্ররোচনামূলক, অভিসন্ধি রয়েছে এর পিছনে। বাংলার মানুষ এই বনধকে সফল হতে দেবেন না। বনধ হচ্ছে না, হবে না'।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযানে 'সন্ত্রাস চালিয়েছে পুলিশ'! রাজ্যজুড়ে এবার ১২ ঘণ্টা বনধ ডাকল বিজেপি। কবে? আগামীকাল বুধবার। 'রেল কর্তৃপক্ষকে বলছি, কালকে কিন্তু রেল বন্ধ করবেন না', পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বললেন, 'এই বনধ প্ররোচনামূলক, অভিসন্ধি রয়েছে এর পিছনে। বাংলার মানুষ এই বনধকে সফল হতে দেবেন না। বনধ হচ্ছে না, হবে না'।
আরও পড়ুন: TMCP: আগামিকাল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস, আরজি কর কাণ্ডের আবহে কী বার্তা মমতা-অভিষেকের?
আরজি কর কাণ্ডে প্রতিবাদে আজ, মঙ্গলবার নবান্ন অভিযান হল। সেই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল সাঁতরাগাছি, বড়বাজার। 'পুলিসের উসকানি ছিল, তারা প্রচুর মানুষকে মারধর করেছেন', বললেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার মতে, 'ছাত্রসমাজ থেকে বলেছিল, বাধা দিলে প্রতিরোধ হবে। কিন্তু আমরা সংযত থাকব। তাঁরা সেকাজটা করেছেন'। কিন্তু এর পরেও বনধ ডাকল সেই বিজেপি-ই।
রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা বলেন, 'অনেক প্ররোচনা দেওয়া হয়েছিল একটা অরাজক ব্যবস্থা তৈরি করার জন্য। এবং আজকে য়ে কর্মসূচি তাঁদের, বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা হয়েছে। পুলিস প্রতিবাদ করেছে, অবস্থা নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। ছাত্র সমাজের নামে প্ররোচনা। এই প্ররোচনায় গুন্ডা আমদানি করা হয়েছে এবং পুলিসকে অনেক জায়গায় আন্দোলনের নামে আক্রমণের শিকার করা হয়েছে। কিন্তু পুলিস ধৈর্য্য হারায়নি। পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে'।
চন্দ্রিমার প্রশ্ন, 'এই বনধটা কেন? সমস্ত বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বুঝি! পুজোর আগে অনেক বাণিজ্যিক লেনদেন হয়। যার জন্য এই রাজ্য অর্থনীতি সব রাজ্যের থেকে চাঙ্গা। সেটা বন্ধ করে দিতে হবে! অর্থনীতিতেও এইভাবে বাধা ফেলে, একটা কিছু করতে হবে আন্দোলনের নামে। তাই আগামীকাল বনধের ডাক'। তাঁর কথায়, 'বাংলায় বনধের রাজনীতি চলে না, যবে থেকে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসকের মুখ্য় ভূমিকায় আছেন, বনধ রাজনীতি বন্ধ হয়ে গিয়েছেন। বনধটা আবার চালাতে হবে, এটা বুঝি ভেবেছেন তাঁরা। বনধ প্ররোচনামূলক, অভিসন্ধি রয়েছে এর পিছনে। বাংলার মানুষ এই বনধকে সফল হতে দেবেন না। বনধ হচ্ছে না, হবে না'।
আরও পড়ুন: Nabanna Abhijan: নৈরাজ্যের নবান্ন অভিযান! সংযত পুলিস-ই বার বার আক্রান্ত-রক্তাক্ত
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)