মিশন উত্তরবঙ্গ, মুকুলের পরামর্শে এবার সংগঠন সামলাতে ঝাঁপাচ্ছে তৃণমূল!
উত্তরবঙ্গে মুকুলের সাংগঠনিক দক্ষতাকে কাজে লাগাতে চাইছে দল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিপুল জন সমর্থন নিয়ে ফের রাজ্যের ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। ২০০-র গণ্ডি পেরিয়ে ২১৩ আসন পেয়েছে ঘাসফুল শিবির। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গে ভাল ফল করলেও, তৃণমূলের মাথা ব্যথা উত্তরবঙ্গ। আর সেই উত্তরবঙ্গে দলের সংগঠনকে মজবুত করতে, সম্ভবত এবার মুকুল রায়কে কাজে লাগাতে চাইছে ঘাসফুল শিবির।
সূত্রের খবর, মুকুল রায়ের সাংগঠনিক দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে উত্তরবঙ্গে ঘর গোছাতে চাইছে তৃণমূল। উত্তরবঙ্গে দল পরিচালনার ক্ষেত্রে তৃণমূলের একদা সেকেন্ড ইন কমান্ডের পরামর্শকেই হাতিয়ার করতে চাইছে দল। দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গেই সমান্তরাল ভাবে উত্তরবঙ্গের উন্নয়নেও কাজ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের সমস্ত প্রকল্প পৌঁছে দেওয়া হয়েছে সেখানে। রাস্তাঘাট, জল, বিদ্যুৎ, শিক্ষা, যোগাযোগ ব্যবস্থা, উত্তরবঙ্গের সার্বিক উন্নয়নে কোনও খামতি রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী। বারাবার উত্তরবঙ্গে ছুটে গিয়েছেন তিনি। বাড়িতে গুরুত্ব দিতে উত্তরবঙ্গে তৈরি করেছেন সচিবালয়ও।
আরও পড়ুন: Dhankhar-Suvendu সাক্ষাৎ, ফের আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে সরব বিরোধী দলনেতা
আরও পড়ুন: 'ওটা বঙ্গভঙ্গ দিবস', পশ্চিমবঙ্গ দিবস ইস্যুতে তৃণমূলের নিশানায় Suvendu
কিন্তু উনিশের লোকসভা এবং একুশের বিধানসভা, দুই নির্বাচনেই উত্তরবঙ্গে আশানুরপ ফল করেনি তৃণমূল। বরং তুলনামূলক ভাবে সেখানে শাসকদলকে টেক্কা দিয়েছে বিজেপি। উনিশের লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গের আটটি আসনের মধ্যে সাতটিতেই জয়ী হয়েছে বিজেপি। একই ভাবে একুশের বিধানসভা ভোটেও উত্তরবঙ্গের ৬ জেলার ৪২ আসনের মধ্যে ২৫টিতে জয়ী হয়েছে গেরুয়া শিবির। কোচবিহারে ৯টি আসনের মধ্য়ে সাতটিই গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের কাছে। আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলকে হোয়াইট ওয়াশ করেছে পদ্ম শিবির। সেখানে শাসক দলকে দাঁত খোটাতে দেননি দিলীপ ঘোষরা। উত্তরবঙ্গের ওই ৬ জেলার মধ্যে দুই দিনাজপুরে কিছুটা হলেও শাসকদলের মুখরক্ষা হয়েছে। তবে উত্তরবঙ্গের এই সংগঠন ভাবাচ্ছে ঘাসফুল শিবিরকে। সূত্রের খবর, তাই সেখানকার সংগঠনের হাল সামলাতে এবার মুকুল অস্ত্রই ভরসা তৃণমূলের।