সদ্য দুর্ঘটনার ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই ফের চালকের আসনে বসানো হল অসুস্থ চালককে
সদ্য একটা দুর্ঘটনার ধাক্কা সামলে উঠেছেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থও। রেলের নিয়ম বলছে, যেকোনওরকম দুর্ঘটনায় পড়লে সঙ্গে সঙ্গেই সেই চালককে বসিয়ে দিতে হবে। অথচ, নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে
তাঁকেই বলা হল চালকের আসনে বসতে। দুর্ঘটনার আধ ঘণ্টার মধ্যে। গোটা ঘটনা রেলমন্ত্রীকে জানাবেন বলে জানিয়েছেন অধীর চৌধুরী।
অসুস্থ তিনি। সোজা হয়ে হাঁটতে পারেন না। কিন্তু বসতে হয় চালকের আসনে। রবিবার সকালে তাঁর হাতেই ঘটে যায় ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা। কারশেড থেকে গাড়ি আনার সময় দশ নম্বর প্ল্যাটফর্মের ওপর উঠে যায়
ইঞ্জিন। ঘড়িতে তখন চারটে দুই। আহতও হন গাড়ির চালক। তার কামরা ভেঙে দুমড়ে যায়। থরথর করে কাঁপছিলেন চালক। কিন্তু তাতে কী যায় আসে। ১০ মিনিটের মধ্যেই মোবাইলে ফোন আসে। এই অবস্থাতেই
কারশেড থেকে ট্রেন চারের এ প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসতে হয় তাঁকে। ঘড়িতে তখন ৪টে বেজে ৩২ মিনিট। দুর্ঘটনা ঘটার আধঘণ্টার মধ্যেই।
রেলের নিয়ম বলছে, চালক কোনও দুর্ঘটনায় পড়লে তাঁর মানসিক অবস্থার কথা ভেবে, সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে বসিয়ে দিতে হবে। এটার কোনও অন্যথা করা যাবে না। এই চালক রাত একটা থেকে চারটের মধ্যে তেরোটি
গাড়ি কারশেড থেকে শান্টিং করেছেন। চোদ্দতম গাড়িতে দুর্ঘটনা ঘটে। ফের পনেরোতম গাড়িটি তাঁকেই নিয়ে আসতে হয়। এমনটাও হয়! গোটা ঘটনা শুনে রীতিমতো স্তম্ভিত প্রাক্তন রেল প্রতিমন্ত্রী।
এমন বেনিয়মের ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নিতেই পারেন রেলমন্ত্রী। তবে রেল কর্তৃপক্ষ মুখে কুলুপ এঁটেছেন। তদন্ত চলছে এই অজুহাতে এড়িয়ে যাচ্ছেন সব প্রশ্ন।