C V Ananda Bose Controversy: 'অনুসন্ধান বন্ধ করুন', শ্লীলতাহানি ইস্যুতে কড়া চিঠি রাজ্যপালের!
C V Ananda Bose Molestation Controversy: লালবাজারের তরফে যা যা করণীয় সব কিছু করা হবে বলে জানানো হয়। তৈরি করা হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের তালিকাও। ওদিকে সি ভি আনন্দ বোস জানিয়েছেন, রাজভবনের সিসিটিভি ফুটেজ পুলিসকে নয়, দেখানো হবে সাধারণ মানুষকে।
পিয়ালি মিত্র: শ্লীলতাহানি ইস্যুতে এবার মুখ্যসচিবকে চিঠি রাজ্যপালের। চিঠিতে তাঁর বিরুদ্ধে অনুসন্ধান দ্রুত বন্ধ করার নির্দেশ রাজ্য়পালের। তাঁর বিরুদ্ধে পুলিস যে অনুসন্ধান চালাচ্ছে তা বেআইনি বলে চিঠিতে উল্লেখ রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের। সূত্রের খবর, সংবিধানের ৩৬১ ধারা অনুযায়ী রাজ্যপালের রক্ষাকবচের কথা স্মরণ করিয়ে চিঠিতে দ্রুত অনুসন্ধান বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। প্রসঙ্গত, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ অভিযোগের তদন্তে ডিসি সেন্ট্রালের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের বিশেষ অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে। অভিযোগের তদন্তে সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে রাজভবনে চিঠিও পাঠিয়েছে কলকাতা পুলিস।
রাজভবনের ওসির মাধ্যমে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে EPBX অফিসের এন্ট্রি ও রাজ্যপালের চেম্বারের সামনের করিডরের সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে পাঠিয়েছে কলকাতা পুলিস। বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে পাঠানো হয়েছে। লালবাজারের তরফে বলা হয়েছে, যা যা করণীয় সব কিছু করা হবে। কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন হলে সেটাও করা হবে। যে জন্য একটি তালিকাও তৈরি করা হয়েছে বলে লালবাজার সূত্রে খবর। ওদিকে, গতকালই এক বিবৃতি জারি করে 'সচ কা সামনা' নামে এক কর্মসূচির ঘোষণা করেছেন রাজ্য়পাল সি ভি আনন্দ বোস।
যেখানে বলা হয়েছে, পুলিসকে নয়, রাজভবনের সিসিটিভি ফুটেজ দেখানো হবে সাধারণ মানুষকে! বিবৃতিতে উল্লেখ, "রাজভবনের বিরুদ্ধে সিসিটিভি ফুটেজ না দেওয়ার মিথ্যা অভিযোগ করছে পুলিস। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেই রাজ্যপাল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে চাইলে পশ্চিমবঙ্গের যে কোনও নাগরিক-ই রাজভবনে সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে পারেন। কিন্তু জনসমক্ষে অবস্থানের কারণে রাজনীতিবিদ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও তাঁর পুলিসকে সিসিটিভি ফুটেজ দেখানো হবে না।" প্রথম ১০০ জন আবেদনকারীকে রাজভবনের ভিতরের সিসিটিভি ফুটেজ দেখানো হবে বলে জানানো হয়েছে। ই-মেল আইডি ও ফোন নম্বর জানিয়ে জারি করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তি।
রাজভবনের পিসরুমে কর্মরত এক মহিলা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনেছেন। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যপাল তাঁকে নিজের চেম্বারে ডেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি দেওয়ার নামে শ্লীলতাহানি করেছেন। তাঁকে আপত্তিকরভাবে স্পর্শও করেছেন। এই অভিযোগ সামনে আসতেই সব মহলে তোলপাড় পড়ে যায়। এই ইস্যুতে প্রকাশ্যে নির্বাচনী সভা থেকে রাজ্যপালকে একহাত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তোপ দাগেন, "রাজ্যপাল তাঁর কাজের মেয়েকে.... মেদিনীপুর পূর্বের একটি মেয়েকে... একবার নয়, পর পর দুবার শ্লীলতাহানি করেছেন।"
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)