সরকারের সহযোগিতায় রাজ্যে চিকিত্সায় আর কোনও চিন্তা নেই
বড় কোনও রোগ হলেই চিকিৎসার খরচ নিয়ে চিন্তার শেষ থাকে না। বড়লোকদের খুব একটা সমস্যা না হলেও অসুবিধায় পড়ে যান গ্রামাঞ্চলের গরিব মানুষরা। কিন্তু সরকারের সহযোগিতায় পশ্চিমবঙ্গে চিকিৎসা এখন অনেকটাই সহজ। গরিব মানুষদের চিন্তা কমাতে বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে সরকার। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে পকেট থেকে খরচ হবে না একটা টাকাও। এই সুবিধা দেওয়ার জন্য চিকিৎসা ক্ষেত্রে সরকারের খরচের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১৫৯.৮৬ কোটি টাকা। যা আগে ছিল ১০৪০.৭ কোটি। শুধু চিকিৎসার খরচ নয়, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন রোগীর প্রয়োজনীয় ওষুধের দামও দিতে হবে না পকেট থেকে।
ওয়েব ডেস্ক: বড় কোনও রোগ হলেই চিকিৎসার খরচ নিয়ে চিন্তার শেষ থাকে না। বড়লোকদের খুব একটা সমস্যা না হলেও অসুবিধায় পড়ে যান গ্রামাঞ্চলের গরিব মানুষরা। কিন্তু সরকারের সহযোগিতায় পশ্চিমবঙ্গে চিকিৎসা এখন অনেকটাই সহজ। গরিব মানুষদের চিন্তা কমাতে বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে সরকার। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে পকেট থেকে খরচ হবে না একটা টাকাও। এই সুবিধা দেওয়ার জন্য চিকিৎসা ক্ষেত্রে সরকারের খরচের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১৫৯.৮৬ কোটি টাকা। যা আগে ছিল ১০৪০.৭ কোটি। শুধু চিকিৎসার খরচ নয়, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন রোগীর প্রয়োজনীয় ওষুধের দামও দিতে হবে না পকেট থেকে।
চিকিৎসাক্ষেত্রে সরকারের আরও একটি উদ্যোগের নাম ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকান, যা গোটা দেশের কাছেই একটি মডেল। ২০১১ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ১০৮ টি ন্যায্য মূল্যের দোকান খোলা হয়েছে। এইসব দোকানে ওষুধ মেলে বাজারদরের থেকে অন্তত ৪৮ শতাংশ কম দামে। এ পর্যন্ত ২ কোটি রোগী ৫৮৫ কোটি টাকার ছাড় পেয়েছেন প্রয়োজনীয় ওষুধে। নায্যমূল্যের ওষুধের দোকানের মতো খোলা হয়েছে নায্য মূল্যের ডায়াগনস্টিক সেন্টারও। এখানে বাজার দরের থেকে ৫০ শতাংশ কম খরচে করানো যায় এক্স-রে, এমআরআইয়ের মতো প্রয়োজনীয় টেস্ট। এছাড়াও মুমূর্ষূ রোগীদের জন্য জেলায় জেলায় তৈরি হয়েছে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট। পশ্চিমবঙ্গই একমাত্র রাজ্য যেখানে জেলার ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে বিনামূল্যে উন্নত মানের চিকিৎসা দেওয়া হয়। শিশুদের জন্য রয়েছে সরকারের শিশুসাথী প্রকল্প। ৭৪০০ শিশুর চিকিৎসা হয়েছে এই প্রকল্পের আওতায়। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় তৈরি করা হয়েছে মাল্টি ও সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল। বাড়ছে মেডিক্যাল কলেজের সংখ্যাও। ভারতের দ্বিতীয় ‘প্যাডিয়াট্রিক ক্যাথ হাব’ তৈরি হয়েছে এসএসকেএমে। এখানেই তৈরি হয়েছে ভারতের প্রথম ‘হিউম্যান মিল্ক ব্যাঙ্ক’ ‘মধুর স্নেহা’ ও কর্ড ব্লাড ব্যাঙ্ক।