কবে বিধাননগরে আস্থা ভোট? রয়ে গেল ধোঁয়াশাই
বিধাননগর পুরসভায় অনাস্থা বৈঠক কবে? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের বুধবারের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যেতে দেখা যায়নি পুরসভার পক্ষে কাউকেই।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিধাননগর পুরসভায় অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর বৈঠক কবে হবে? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায়ের বুধবারের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যেতে দেখা যায়নি পুরসভার পক্ষে কাউকেই। তার ফলে এটা স্পষ্ট যে, নতুন নোটিস জারি হচ্ছেই। কিন্তু বৈঠক কবে হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা থাকছে। সূত্রের খবর, যত দ্রুত সম্ভব বৈঠক ডাকা হতে পারে। সেক্ষেত্রে সোমবারের মধ্যেই মিটিং ডাকা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এবার প্রশ্ন উঠছে নতুন নোটিস জারি হওয়ার পরে বৈঠক কবে হবে? উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই অনাস্থা বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটি হচ্ছে না কারণ তার আগে নতুন নোটিস জারি করা হবে। তৃণমূল সূত্রের খবর, বৈঠক ১৯ তারিখ ডাকা হতে পারে। কিন্তু তা না হলে সর্বোচ্চ সোমবার পর্যন্ত অপক্ষা করা হবে। এক্ষেত্রে যদি সোমবার বৈঠক হয়, তাহলে সব্যসাচী দত্ত নতুন করে প্রশ্ন তুলতে পারেন, আইন অনুযায়ী কেন ১৫ দিন সময় দেওয়া হল না? কেন এত দ্রুত বৈঠক করা হল?
অর্থাত্ সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে নতুন করে নোটিস জারি হলেও, সেই নোটিস যে একেবারের ‘প্রশ্নহীন’ হচ্ছে না, তা বলা যেতে পারে। বুধবারই একটি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বিচারপতি, যে কোথাও গিয়ে আস্থা হারিয়েছেন সব্যসাচী দত্ত। যার ফলে তাঁকে শক্তি পরীক্ষার সম্মুখীন হতেই হবে। তবে এই অনাস্থা বৈঠক কবে হয়, সেটাই দেখার।
'বেআইনি' নোটিস খারিজ হাইকোর্টের, আগামিকাল বিধাননগর পুরনিগমে কোনও ভোটাভুটি নয়
প্রসঙ্গত, বুধবার বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আইনি মেনে এই নোটিস দেওয়া হয়নি। ফলে নতুন করে নোটিস দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, কাউন্সিলর কেনাবেচার মতো প্রসঙ্গ এড়াতে ২ দিনের মধ্যে চেয়ারম্যানকে ফের নতুন নোটিস দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। এই রায়ের পর আগামিকাল বিধাননগর পুরনিগমে আর কোনও মিটিং হচ্ছে না।
এদিকে, বৃহস্পতিবার বেলা চারটের সময়ে সাংবাদিক বৈঠক করার কথা রয়েছে বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্তের। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি কী বলেন, সেটাই দেখার।