মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব না থাকার পিছনে সূর্যের 'হাত' রয়েছে, দাবি নাসার
সৌর জগতে পৃথিবীই একমাত্র গ্রহ যেখানে প্রাণীর অস্তিত্ব বর্তমান। লক্ষ কোটি বছর আগে মঙ্গলেও প্রাণের অস্তিত্ব ছিল বলে মনে করছে নাসার বিজ্ঞানীরা। প্রাণের অস্তিত্ব ছিল সেখানেও। লাল গ্রহের আবহাওয়াও ছিল প্রাণের অনুকূল। কিন্তু কোনও এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে লাল গ্রহের আবহাওয়া বদলে যায় বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
ওয়েব ডেস্ক: সৌর জগতে পৃথিবীই একমাত্র গ্রহ যেখানে প্রাণীর অস্তিত্ব বর্তমান। লক্ষ কোটি বছর আগে মঙ্গলেও প্রাণের অস্তিত্ব ছিল বলে মনে করছে নাসার বিজ্ঞানীরা। প্রাণের অস্তিত্ব ছিল সেখানেও। লাল গ্রহের আবহাওয়াও ছিল প্রাণের অনুকূল। কিন্তু কোনও এক প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে লাল গ্রহের আবহাওয়া বদলে যায় বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
সেই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ঘটানোর জন্য দায়ী করা হয়েছে সূর্যকে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, সৌর বায়ু, সূর্যের অতিবেগুণী রশ্মি এবং সৌর ঝড়ের কারণে লাল গ্রহের মধ্যে থেকে ধ্বংস হয়ে গেছে প্রাণের অস্তিত্ব। তারপর থেকেই অসম্ভব রকমের ঠান্ডা আবহাওয়ার সৃষ্টি হয়েছে মঙ্গলে।
নাসার 'মার্স অ্যাটমোস্ফিয়ার এন্ড ভোলাটাইল ইভোলিউশন', মঙ্গলের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ করে জানতে পেরেছে; এই গ্রহের চারধারে এখন পর্যন্ত কার্বোন-ডাই-অক্সাইড এবং অক্সিজেনের একটি আস্তরণ রয়েছে। যা প্রাণের জন্য প্রয়োজনীয়। কিন্তু ধীরে ধীরে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে যাচ্ছে স্তরটি।
৩.৫ লক্ষ কোটি বছর আগে সূর্যের জন্য মঙ্গলের চৌম্বক ক্ষেত্র নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর থেকেই সম্ভবত এই আস্তরণটিও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে অনুমান করছেন বিজ্ঞানীরা।
তবে মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কিনা তা নিয়ে আরও গবেষণা চালাচ্ছে নাসা। নাসার পরবর্তি মিশন ২০৩০-তে মঙ্গলে প্রাণের চিত্র আরও পরিস্কার হয়ে যাবে বলে অনুমান বিজ্ঞানীদের।