Ramakrishna Dev 188 Birth Anniversary: 'জীবনে শান্তি পেতে মনের ময়লা ধুতে হবে', রামকৃষ্ণদেবের বাণীকে স্মরণ করেই জন্মতিথি উদযাপন আজ
ভক্তির সাধক ভক্তের সাধন, প্রেমের ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের ১৮৮ তম জন্ম জয়ন্তী আজ। ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৮৩৬ সালে হুগলীর কামারপুকুরের এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম নিয়েছিলেন তিনি।তাঁর পিতা ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায় ও মা চন্দ্রমণি দেবী।
![Ramakrishna Dev 188 Birth Anniversary: 'জীবনে শান্তি পেতে মনের ময়লা ধুতে হবে', রামকৃষ্ণদেবের বাণীকে স্মরণ করেই জন্মতিথি উদযাপন আজ Ramakrishna Dev 188 Birth Anniversary: 'জীবনে শান্তি পেতে মনের ময়লা ধুতে হবে', রামকৃষ্ণদেবের বাণীকে স্মরণ করেই জন্মতিথি উদযাপন আজ](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2023/02/21/407674-ramakrishna.jpg)
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভক্তির সাধক ভক্তের সাধন, প্রেমের ঠাকুর রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের ১৮৮ তম জন্ম জয়ন্তী আজ। ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৮৩৬ সালে হুগলীর কামারপুকুরের এক ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম নিয়েছিলেন তিনি।তাঁর পিতা ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায় ও মা চন্দ্রমণি দেবী। ঠাকুরের কিছু মহান বাণী মন শান্ত করে নিজেকে ইশ্বরের পায়ে নিবেদনের মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ করেন। তিনিই তো বলেছেন, "জীবনে শান্তি পেতে মনের ময়লা গুলো ধুয়ে ফেলতে হবে যে বাবা, মনে যতক্ষণ কাম, ক্রোধ, লোভের বাস সেখানেই সর্বনাশ।"
স্থাপকায় চ ধর্মস্য সর্বধর্মস্বরুপিণে।
অবতারবরিষ্ঠায় রামকৃষ্ণায় তে নমঃ।।
রামকৃষ্ণকে প্রণাম নিবেদন করা হয় এই মন্ত্রেই। স্বামী বিবেকানন্দ রচিত এই মন্ত্রে বলা হয়েছে, সর্বধর্মস্বরুপ ধর্মের যিনি সংস্থাপক, অবতারগণের মধ্যে শ্রেষ্ঠ, সেই রামকৃষ্ণ তোমায় প্রণাম।
আরও পড়ুন, Falgun Amavasya 2023: ফাল্গুনী অমাবস্যায় করুন মা তারার পুজো, গ্রহদোষ কাটাতে জেনে এই নিয়ম
শ্রীরামকৃষ্ণদেবের ১৮৮ তম জন্মতিথি উপলক্ষে সেজে উঠেছে বেলুড় মঠ। ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ মূল মন্দিরে শ্রীরামকৃষ্ণদেবের মূর্তির সামনে মঙ্গলারতি দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর সেখানেই হয় বেদ পাঠ ও স্তব গানের আয়োজন করা হয়। মঠের সন্ন্যাসী ও ভক্তরা খোল-করতাল সহযোগে সারা মঠ ঘুরে ঘুরে ঊষা-কীর্তন করেন। তারপর সম্পন্ন হয় বিশেষ পূজা আর হোম। সারাদিনই ভক্তিগীতি, শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণলীলাপ্রসঙ্গ পাঠ ও ব্যাখ্যা, বংশীবাদন অনুষ্ঠান, গীতিনাট্য, ভজন ও ধর্মসভার আয়োজন করা হয়েছে বেলুড়মঠে। এই ধর্মসভায় এবারের বিষয় শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণজীবন ও বাণী। সভাপতি স্বামী সুবীরানন্দ, বক্তা- স্বামী চেতনানন্দ, স্বামী ঈশাত্মানন্দ, স্বামী রাঘবেন্দ্রানন্দ।
কথিত আছে, তিনি যখন জন্মগ্রহন করেছিলেন, কামারপুকুর বাটিতে তাদের শিব মন্দির চন্দ্রালোতে আলোকিত হয়ে উঠেছিল। রামকৃষ্ণদেবের গড়নে ছিল দৈবিকভাব। পরবর্তীতে পিতার ইচ্ছায় গয়াতে গদাধর চট্টোপাধ্যায়ের কাছে বিষ্ণু মন্ত্রে দীক্ষিত হন। সেই থেকেই পথ চলা শুরু। প্রেমের সারমর্মে দীক্ষিত করতে চেয়েছেন সারা বিশ্বকে। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে নিজের অমৃতকথার প্রসার করেছেন রামকৃষ্ণদেবে।
১৮৫৫ সালে রানি রাসমনি রামকৃষ্ণদেবকে দক্ষিণেশ্বর কালি মন্দিরে 'মা কালি'র পূজারি হিসেবে নিয়ে আসেন। 'কালি আমার মা, কালি জগৎ-এর মা', এই মন্ত্র ধ্বনিত হত সারা দক্ষিণেশ্বরে। পরে স্বামী বিবেকানন্দ, কেশব চন্দ্র সেন, প্রতাপ চন্দ্র মজুমদার, শিবনাথ শাস্ত্রী প্রমুখেরা তাঁর মন্ত্র-আদর্শে দীক্ষিত হন।