উত্তর দিল্লির বাওয়ানাতে মহরমের মিছিল বিরোধিতার ডাক দিল মহাপঞ্চায়েত, এলাকা জুড়ে উত্তেজনা
উস্কানিমূলক পোস্টার ও বক্তব্যকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল উত্তর দিল্লির বাওয়ানা অঞ্চলে। রবিবার বাওয়ানাতে এক মহাপঞ্চায়েত থেকে মহরমের ''তাজিয়া'' শোভাযাত্রার বিরোধিতা করার ডাক দেওয়া হয়।
নয়া দিল্লি: উস্কানিমূলক পোস্টার ও বক্তব্যকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল উত্তর দিল্লির বাওয়ানা অঞ্চলে। রবিবার বাওয়ানাতে এক মহাপঞ্চায়েত থেকে মহরমের ''তাজিয়া'' শোভাযাত্রার বিরোধিতা করার ডাক দেওয়া হয়।
কিছুদিন আগেই দিল্লিরই ত্রিলোকপুরিতে দিওয়ালির রাতে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে যে ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল এখনও তার রেশ রয়ে গেছে। এর মধ্যেই মঙ্গলবার মহরমের আগে বাওয়ানার ঘটনায় ফের দিল্লিতে সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা তৈরি হল।
কারবালার যুদ্ধে নবী মহম্মদের নাতির মৃত্যুকে স্মরণ করে পালন করা হয় মহরম।
বিজেপির বিধায়ক গুগান সিং রাঙ্গা ও কংগ্রেস কাউন্সিলার দেবেন্দর কুমার উপস্থিত ছিলেন এই মহাপঞ্চায়েতে। রাঙ্গা মহাপঞ্চায়েতের মঞ্চে দাঁড়িয়ে ঘোষণা করেন ''যেখানে যেখানে আপনারা মহরমের মিছিলের বিরোধীতা করার সিদ্ধান্ত নেবেন আমি পূর্ণ সমর্থন জানাব।''
ওই অঞ্চলের বাসিন্দারা জানিয়েছেন গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বাওয়ানাতে চাপা ধর্মীয় উত্তেজনা চলছে।
বাওয়ানার এক বাসিন্দা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন গত মাসে ঈদের সময় কিছু হিন্দু যুবক ব্যাপক ভাবে গো হত্যার অভিযোগ আনার পর থেকেই উত্তেজনা শুরু হয়।
বাওয়ানা কলোনিতে দুই ভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষের বসতির মাঝে রয়েছে একটি ছোট্ট ক্যানাল।
মোহরমের মিছিল যে রাস্তা দিয়ে যায় সেখানে মূলত কিছু হিন্দু পরিবার বসবাস করে। ওই পরিবারগুলির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এই মিছিলের ফলে শহরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার মূল রাস্তা আটকে যায়। ফলে তাদের ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
অন্যদিকে, ওই অঞ্চলের মুসলিম বাসিন্দারা জানিয়েছেন গত ১০ বছর ধরেই ওই একই রাস্তা ধরে মিছিল নিয়ে যান তারা। এর আগে কেউই কোনও অভিযোগ জানাননি। তবে এই বছর আপত্তি ওঠার কারণে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার চেষ্টায় কাটছাঁট করা হয়েছে মহরমের মিছিলের রাস্তা।
এর পরেও রবিবারের মহাপঞ্চায়েতে ধর্মীয় উসকানি মূলক বক্তব্যের অভিযোগ উঠেছে।