মোদীর হাতেই দেশ সুরক্ষিত, বিজেপিতে যোগ দিয়ে বললেন জয়াপ্রদা
জয়াপ্রদা যে বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন, তা নিয়ে সোমবার থেকেই জল্পনা চলছিল। মঙ্গলবার বেলা বাড়ার পর সেই জল্পনাই সত্যি হল।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মুলায়ম সিং যাদবের দল থেকে বিতাড়িত অভিনেত্রী জয়াপ্রদা এবার যোগদান করলেন বিজেপিতে। মঙ্গলবার নয়াদিল্লিতে বিজেপির প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান।
জয়াপ্রদা যে বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন, তা নিয়ে সোমবার থেকেই জল্পনা চলছিল। মঙ্গলবার বেলা বাড়ার পর সেই জল্পনাই সত্যি হল।
বলিউডের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী ২০০৪ সালে প্রথমবার লোকসভার সাংসদ হন। উত্তরপ্রদেশের রামপুর লোকসভা আসন থেকে তিনি সমাজবাদী পার্টির টিকিটে ভোটে জেতেন। ২০০৯ সালেও তিনি ওই আসন ধরে রাখতে সক্ষম হন।
আরও পড়ুন: জোর ধাক্কা গান্ধী-দুর্গে! অমেঠি কেন্দ্রে রাহুলের বিরুদ্ধেই দাঁড়াচ্ছেন কংগ্রেস নেতারই ছেলে
যদিও তাঁর রাজনীতিতে প্রবেশ ১৯৯৪ সালে। তখন তিনি এনটি রামারাও-এর তেলগু দেশম পার্টিতে যোগদান করেন। দলের হয়ে প্রচার করেন। ভোটে জিতে এনটিআর অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হন।
কিন্তু তাঁর অসুস্থতার সুযোগ নিয়ে দলের কর্তৃত্ব হাতে নিয়ে নেন এনটিআর-এর জামাই তথা টিডিপি-র বর্তমান সুপ্রিমো এন চন্দ্রবাবু নায়ডু। চন্দ্রবাবুর পক্ষে ছিলেন জয়াপ্রদাও।
আরও পড়ুন: JNU-র উপাচার্যের বাড়িতে ঢুকে তাণ্ডব পড়ুয়াদের
১৯৯৬ সালে প্রথমবার সংসদীয় রাজনীতিতে প্রবেশ জয়াপ্রদার। অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে তিনি সেবার রাজ্যসভার সাংসদ হয়ে সংসদে আসেন। কিন্তু চন্দ্রবাবুর সঙ্গে গোলমালের জেরে তিনি তেলগু দেশম পার্টি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। যোগদেন সমাজবাদী পার্টিতে।
সমাজবাদী পার্টিতেও তাঁর সঙ্গে দলীয় নেতৃত্বের মতবিরোধ তৈরি হয়। ২০১০ সালে তাঁকে মুলায়ম সিং যাদব দল থেকে বহিষ্কার করেন। ২০১৪ সালে তাই রাষ্ট্রীয় লোক দল থেকে বিজনৌর লোকসভার আসনে প্রার্থী হন জয়াপ্রদা। তবে এবার তাঁকে হারতে হয় বিজেপির প্রার্থীর কাছে।
আরও পড়ুন: প্রার্থী হতে না পেরে বিস্ফোরক চিঠি লিখলেন মুরলী মনোহর জোশী
নির্বাচনের মুখে বিজেপিতে যোগদান করায়, জয়াপ্রদার প্রার্থী হওয়া নিয়ে নতুন করে জল্পনা শুরু হয়েছে। আবার কি তিনি রামপুরে প্রার্থী হবেন, সেই প্রশ্নই নতুন করে ঘুরতে শুরু করেছে উত্তর প্রদেশের রাজনৈতিক মহলে।
রামপুরে যদি বিজেপি তাঁকে প্রার্থী করে, তাহলে জমজমাট লড়াই হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কারণ, ওই আসনে সপার প্রার্থী আজম খান। আর এই আজম খানের সঙ্গে ২০০৯ সালেই বিবাদ বেঁধেছিল জয়াপ্রদার। তখন তাঁরা দুজনেই সপার সদস্য।
আরও পড়ুন: জেট এয়ারওয়েজকে বাঁচাতে আর্থিক সাহায্য দিতে চান বিজয় মালিয়া
জয়াপ্রদা অভিযোগ করেছিলেন, আজম খান তাঁকে বদনাম করতে চাইছেন। তাই তাঁর নগ্ন ছবি ছড়িয়ে দিয়েছে আজম খান। সেই সময় এ নিয়ে ব্যাপক জলঘোলা হয়েছিল।
তবে লোকসভা নির্বাচনে তাঁর প্রার্থী হওয়া নিয়ে এদিন কোনও মন্তব্য করেননি জয়াপ্রদা। তিনি বলেছেন, ''সিনেমা হোক বা রাজনীতি, আমি সবসময় আমার ১০০ শতাংশ দিয়েছি। বিজেপিতে আমাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানোর জন্য ধন্যবাদ।''
আরও পড়ুন: উত্তর প্রদেশের গড় রক্ষায় ৪০ তারকা প্রচারককে মাঠে নামাচ্ছে বিজেপি
একই সঙ্গে তিনি ঢালাও প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। বলেছেন, ''টিডিপি ও সমাজবাদী পার্টিতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। এবার নরেন্দ্র মোদীর মতো নেতার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেলাম। আমি নিজেকে দল ও দেশের জন্য উত্সর্গ করলাম।''